এমন সিদ্ধান্তের জন্য এই তিন দেশকে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে: ই’রান !!
দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র ই’রান পা’রমানবিক ইস্যুতে টানাপোড়েন চলছে। এবার পা’রমাণবিক চুক্তির অধীনে বিবাদমুলক মেকানিজম বা কৌশল প্রয়োগের সিদ্ধান্তে বৃটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ই’রান। ই’রান বলেছে, এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হলে তার করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে।
২০১৫ সালে সম্পাদিত ওই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ওই তিনটি দেশ মঙ্গলবার ঘোষণা করে যে, তারা বিবাদমুলক কৌশল (ডিসপিউট মেকানিজমস) প্রয়োগ করবে। এর উদ্দেশ্য ই’রানকে চুক্তির অধীনে তার প্রতিশ্রতির প্রতি সম্মান বজায় রাখতে বাধ্য করা।
কিন্তু তাদের এমন কৌশলকে কৌশলগত ভুল বলে আখ্যায়িত করেছেন ই’রানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ। দেশটির আধা সরকারি বার্তা সংস্থা ফারস তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, বিবাদমুলক কৌশলের ব্যবহার আইনগতভাবে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক অবস্থান থেকে কৌশলগত ভুল।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই তিন দেশের এমন ঘোষণার অর্থ হলো ২০১৫ সালে সম্পাদিত পা’রমাণবিক চুক্তির ইতি।
এর ফলে ই’রানের ওপর আরো অবরোধ আসতে পারে। এমনিতেই মা’র্কিন অবরোধে ই’রানের অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে আছে। তার ওপর যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই তিন দেশ অবরোধ দেয় তাহলে দেশটির টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়তে পারে।
এমন অবস্থায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, অবশ্যই যদি ইউরোপীয়ানরা চুক্তি প্রক্রিয়ার অপব্যবহার করে তাহলে তাদেরকে পরিণতি মেনে নিতে প্রস্তুত থাকতে হবে। তে’হরান মনে করে, ইউরোপীয়ানরা এই ঐতিহাসিক চুক্তির সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করার জন্য যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিল, তাদের সেই ঘোষণায় সামান্যই আস্থা আছে তে’হরানের।
বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, পক্ষান্তরে আরো একবার সবার সামনে এটাই প্রকাশ হলো যে, ইউরোপীয়ান তিনটি রাষ্ট্র অবাধ্যতা, অসৎ উদ্দেশ্য এবং অগঠনতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে সাড়া দেবে। এরই মধ্যে ২০১৮ সালের মে মাসে বহুজাতিক এই চুক্তি থেকে একতরফাভাবে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর পরই ই’রানের বিরুদ্ধে অবরোধ দিয়ে যাচ্ছে দেশটি।সূত্র: আল জাজিরা