মুখ খুলতে শুরু করেছেন ক্যাসিনো এনু-রুপন, হর্তাকর্তারা আছে আতঙ্কে !!
সদ্য ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতারকৃত পুরান ঢাকার আওয়ামী লীগের দুই নেতা এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়া সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। ক্যাসিনো হোতা দুই ভাই এনু ও রুপন কিভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন, অবৈধ অর্থ কাকে কাকে দিয়েছেন, কিভাবে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতেন রিমান্ডের প্রথম দিনে তারা বিস্তারিত জানিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে যাদের নাম আসছে তা পর্যালোচনা করছেন সিআইডির কর্মকর্তারা। সত্যতা পেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জ থেকে সিআইডির হাতে এনু-রুপনের গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে সুবিধাভোগীরা রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন। সিআইডির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, রিমান্ডের প্রথম দিন দফায় দফায় এনু ও রুপনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, তাদের ২২টি বাড়ি, জমি, ফ্ল্যাট ও অন্যসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বড় অংশ ক্যাসিনোর টাকায় কিনেছেন। এছাড়া বাকিটা পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজির টাকায় করেছেন।
এনু ও রুপন জানান, ২০১৮ সালে গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের পদ পাওয়ার পরপরই এলাকায় তাদের আধিপত্য বেড়ে যায়। তাদের কাছে ভিড়েন এলাকার অনেক প্রভাবশালী। তারা একটা বাহিনীও গড়ে তোলেন। তাদের সঙ্গে ডাকাত শহীদের লোকজনও এসে যোগ দেন। পুরান ঢাকার জমি দখল, ফুটপাত দখল থেকে এমন কোনো কর্মকাণ্ড নেই যা এনু-রুপন করেননি। অবৈধ উপার্জন তারা অনুসারীদের পেছনেও খরচ করেছেন। স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীকে বিলাসবহুল গাড়িও তারা কিনে দিয়েছেন। গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা রীতিমতো তাদের কাছে ঋণী।
সূত্রঃ বিডি২৪লাইভ