কয়েল ব্যবহারে সাবধানঃ যা কমিয়ে দিচ্ছে মানুষের প্রজনন ক্ষমতা !!
মশা থেকে বাঁচতে আমরা কত কিছু করছি। কিন্তু মশা যেন কমছেই না। সম্প্রতি ডেঙ্গুজ্বর দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। স্বাভাবিকভাবে ডেঙ্গু আতঙ্কে ভুগছেন অনেকে। মশারি টানিয়েও যেন স্বস্তির ঘুম আসছে না। মশার অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে বাধ্য হয়ে মশা নিধনের নানান ওষুধ কিনছে মানুষ। অলিগলির দোকানে পাওয়া যাচ্ছে কয়েল, ক্রিম, অ্যারোসল স্প্রেসহ মশা মারার ইলেক্ট্রনিক পণ্য।
এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন কিংবা পৌরসভার উদ্যোগে ফগার মেশিনের মাধ্যমে বড় পরিসরে ঘরের বাইরে স্প্রে করা হচ্ছে। আছে কীটনাশক মিশ্রিত মশারিও। এত কিছুর পরও মশাকে কাবু করা যাচ্ছে না কিছুতেই। উল্টো মশা নিধনের বাজারি সরঞ্জামের প্রয়োগ-অপ্রয়োগে ঝুঁকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, মশার ওষুধের ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়ায় হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ক্যানসার, ফুসফুস, কিডনির রোগসহ নানা রোগের বিপদ বাড়ছে। মশার ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ও পণ্যের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলোর মান ও প্রয়োগ নিয়েও বাড়ছে সংশয়। কয়েলের ধোঁয়া মশা মারছে ঠিকই, কিন্তু তা মানুষের প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন গাইনোকোলজিস্ট ডা. নওশিন শারমিন পূরবী।
তিনি জানান, অনুমোদিত মাত্রার বিষাক্ত রাসায়ানিক ব্যবহার করে তৈরি করা মশার কয়েল প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। গর্ভপাতের হার বাড়িয়ে দিয়েছে। পুরুষের শুক্রানু কমে যাচ্ছে। প্রিম্যাচিউরজ বাচ্চার জন্মহার বেড়ে গেছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ইডব্লিউএমজিএল কনফারেন্স রুমে একটি জাতীয় দৈনিক আয়োজিত ‘অনুমোদনহীন বিষাক্ত মশার কয়েল: স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ভোক্তারা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. পূরবী বলেন, এসব কয়েলের ধোঁয়া চোখে কম দেখা, মাথাব্যাথাসহ নানা সমস্যার জন্ম দিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল জ্যাকব, ক্যাবের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ড. শামসুজ্জামান, ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বি. জে. এএমএম সালেহ ভূইয়া, পরিবেশ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ, ঢাকা জেলার ভেজাল বিরোধী অভিযানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানবীর মুহম্মদ আজিম প্রমুখ।