সুখবর: কমতে শুরু করেছে পেয়াজের দাম !!
ভারতে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় সেখানকার বাজারে ইতোমধ্যে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। এর জন্য ভারত আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে পারে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি-রফতানির সঙ্গে সম্পর্কিত বাংলাদেশ ও ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এমনটিই জানিয়েছেন।
এদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু করলে দেশের অভ্যন্তরে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।
কয়েক মাস আগে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়াসহ বিভিন্ন অজুহাত গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশে সব ধরনের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভরত। এর ফলে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
এ ব্যাপারে হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মাহফুজার রহমান বাবু বলেন, ‘আমরা ভারতীয় রফতানিকারকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। তাদের দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। এমতাবস্থায় তারা জানিয়েছেন ফেব্রুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পেঁয়াজের এলসি গ্রহণ করতে পারেন। সেইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে রফতানি উন্মুক্ত করা হতে পারে বলেও তারা জানিয়েছেন। বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ এলে দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’
এ বিষয়ে ভারতীয় রফতানিকারক সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে নতুন পেঁয়াজ ওঠায় সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে এবং মোকামগুলোতে দাম ১৫ থেকে ৩০ রুপির মধ্যে নেমে এসেছে। আমরা আশা করছি, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে সরকার পেঁয়াজ রফতানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে পারে।’
এদিকে হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন বলেন, ‘জানুয়ারিতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার সম্ভাবনা নেই। তবে ভরতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, সে দেশে দাম কমেছে। তাই খুব তাড়াতাড়িই পেঁয়াজ আমদানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে সে দেশের সরকার।’
এদিকে হিলি স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানির কোনও তথ্য আমাদের কাছে নেই। আগাম তথ্য আমরা পাই না। এলে জানতে পারবো। পেঁয়াজ এলে খালাস করি।’