জেনে নিন হজ ও উমরা পালনের ফজিলত পাবেন যে নামাজে !!
‘অল্প আমলই নাজাতের জন্য যথেষ্ট’। এটি নবী করিম (সা.) এর হাদিস। দৈনন্দিন জীবনে ছোট ছোট অনেক অল্প আমলই আমাদের পরকালে মুক্তি দিতে পারে। নিয়মিত এসব আমল পালনে অর্জিত হবে সীমাহীন সওয়াব। যা লাখ টাকা খরচ করে হজে যাওয়ারও সমতুল্য।এমনই এক আমল; ইশরাকের নামাজ। এ নামাজ ফজর নামাজ আদায়ের পর সূর্যোদয়ের পর পড়তে হয়। অন্যান্য নামাজের মতোই এ নামাজ দুই কিংবা চার রাকাত পড়তে হয়।
ফজর নামাজ থেকে ফারেগ হয়ে মসজিদ যেতে বের না হয়ে কিছুক্ষণ সেখানেই বসে থাকবে। হাদিস শরিফে এর বহু ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজর নামাজের পর যেখানে নামাজ পড়েছে সূর্যোদয় পর্যন্ত সেখানেই বসে থাকবে এবং বসে বসে জিকির তাসবিহ তেলাওয়াত ও দোয়া দরুদ ইত্যাদি আমলে নিমগ্ন থাকবে এবং পূর্ণ সূর্যোদয় হওয়ার পর দুই কি চার রাকাত ইশরাকের নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে এক হজ ও এক উমরার সাওয়াব দান করবেন। (তিরমিযী)।
এবার চিন্তা করুন, হজ আদায় করতে কতো টাকা খরচ হয়। কতো কষ্ট করতে হয়। উমরা ও এর ব্যতিক্রম নয়। অথচ, এই ছোট আমলের বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা একটি হজ ও একটি উমরার সাওয়াব দান করবেন।আল্লাহ তায়ালা আমাদের তাওফিক দান করুন, এই আমলের মাধ্যমে উপকৃত হওয়ার। আমলটি যদিও ফরজ কিংবা ওয়াজিব না। তাই কেউ না করলে, গুনাহ হবে না। তবে এটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল।