বাড়ল প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতন !!
সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বেড়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন জাতীয় বেতন কাঠামোর ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করেছে সরকার। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ‘বেতন বৈষম্য’ দূর করতে এসব শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীত করে আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা এতদিন চতুর্দশ (১০,২০০–২৪,৬৮০ টাকা) এবং প্রশিক্ষণবিহীনরা পঞ্চদশ গ্রেডে (৯,৭০০–২৩,৪৯০ টাকা) বেতন পেয়ে আসছিলেন। এখন থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকদের সবার বেতন ত্রয়োদশ গ্রেডে (১১,০০০ – ২৬,৫৯০ টাকা) শুরু হবে।সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীত করা হলেও প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড আগের মতই রাখা হয়েছে। অর্থাৎ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা একাদশ এবং প্রশিক্ষণবিহীনরা দ্বাদশ গ্রেডে বেতন পাবেন।
২০১৯ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীত করা হয়েছে জানিয়ে আদেশে বলা হয়, প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকের ৬৫ শতাংশ পদ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হবে। আর ৩৫ শতাংশ পদে হবে সরাসরি নিয়োগ। তবে ওই ৬৫ শতাংশ পদে পদোন্নতিযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সরাসরি নিয়োগ দেয়া যাবে। সহকারী শিক্ষক পদে সাত বছরের অভিজ্ঞরা পদোন্নতির যোগ্য হবেন।
আর সহকারী শিক্ষকদের সব পদ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হবে। প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে কোনো স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি পাস থাকতে হবে। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করে সরকার। একইসঙ্গে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল এক ধাপ উন্নীত করা হয়।
প্রধান শিক্ষকরা তাদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীতের দাবি জানিয়ে আসছেন। এ নিয়ে হাইকোর্টে রিট হলে গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) দশম গ্রেডে বেতন দিতে নির্দেশ দেয়। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে ওই আদেশ কার্যকর করতে বলা হলেও এখনও তা কার্যকর হয়নি।