কেউ চাইলে নিজ উদ্যোগে চীন থেকে আসতে পারবে !!
নতুন করোনাভাইরাসের কারণে চীন থেকে বাংলাদেশের কাউকে এই মুহূর্তে সরকারিভাবে দেশে ফেরানো হচ্ছে না। কেউ চাইলে নিজ উদ্যোগে আসতে পারবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।মঙ্গলবার জাতীয় জাদুঘরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
করোনাভাইরাসের কারণে চীন থেকে বাংলাদেশি কাউকে এই মুহূর্তে সরকারিভাবে দেশে ফেরানো হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, যেসব বাবা-মা সন্তানদের ফিরিয়ে আনতে যোগাযোগ করেছেন, তাদের নিজ উদ্যোগে দেশে আনার জন্য বলা হয়েছে।‘আমরা এখনও ফ্লাইট ক্যানসেল করিনি। বিশেষ করে কুনিমং এবং গুয়াংজু থেকে চায়নিজ ফ্লাইট আসছে। আমরা যাদের এনেছি, তাদের জন্য তিন কোটি টাকা প্লেন ভাড়া দিতে হয়েছে। আমার ফান্ডে আর কোনো পয়সা নেই।
চীনে অবস্থানরত বাকিদের ফেরানোর ক্ষেত্রে টাকাই একমাত্র সংকট কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, নট নেসেসারিলি। যারা হজক্যাম্পে আছেন তারা বের না হলে, বাকিদের কোথায় রাখব। আমরা বলেছি, তোমরা যদি আসতে চাও, ডেফিনিটলি আমরা চেক করে, কোয়ারেন্টিনে পৌঁছিয়ে দেব। কোয়ারেন্টিনে রাখার ক্ষেত্রেও জটিলতা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের কোয়ারেন্টিনেও কিছু সমস্যা হয়। কারণ মা, বাবা, আত্মীয়স্বজন, আশপাশের লোক দেখা করতে চলে যায়। কোয়ারেন্টিনের লোক কেউ নামাজ পড়তে গেলে তো আমরা আটকাতে পারি না। নামাজে গেলে স্পর্শ থেকেও সেটা ছড়াতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ভারত, সিঙ্গাপুর- এ রকম কয়েকটি দেশ তাদের লোকদের ফিরিয়ে নিয়েছে। বাকি দেশের লোকরা ওখানে আছে। ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা অভিযোগ করেছে, তাদের খাবার দেয়া হয় না।কিন্তু আমরা তথ্য নিয়েছি, চীনারা বলেছে তাদের পানি, খাবার যথাসময়ে পৌঁছে দেয়া হয়। দু’জন চায়নিজ সিনিয়র অফিসিয়াল নিয়োগ করেছে তাদের দেখভাল করার জন্য। ওখানে তারা মোটামুটি ভালো আছে।
এদিকে নতুন করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত ১০১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৪২ হাজারের বেশি। চীন ভ্রমণ করেননি কিন্তু আক্রান্ত হয়েছেন এমন ঘটনাকে ‘টিপ অব দ্য আইসবার্গ’ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় হল, এই আইসবার্গের আকার এবং আকৃতি নিরূপণ করা। বাংলাদেশে এখনও এ রোগে কেউ আক্রান্ত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে আইইডিসিআর।