প্রবাসীদের ৫ বছর মেয়াদি ফ্যামিলি ভিসা দেবে কাতার !!
কাতারে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের পরিবারের জন্য ফ্যামিলি রেসিডেন্স ভিসা দেবে দেশটির সরকার। কাতারে বৈধভাবে কর্মরতরা চাইলে তাদের পরিবারের সদস্যদের খুব সহজেই দেশটিতে নিয়ে আসতে পারবেন।
মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগেও ভিজিট ভিসায় পরিবারের সদস্যদের কাতার ভ্রমণে নিয়ে আসা যেত। আগের ভিসার মেয়াদ ছিল ১ মাসের। এখন থেকে ফ্যামিলি ভিসার মেয়াদ হবে ৫ বছর।
ফ্যামিলি রেসিডেন্স ভিসা আবেদনের জন্য যা লাগবে-
১. আবেদনকারীর ভ্যালিড কাতার আইডির ফটোকপি।২. আবেদনকারীর কাতারে কর্মরত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে সেটা ও সেলারি সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি।৩. যাদের জন্য আবেদন করা হবে তাদের সবার পাসপোর্টের ফটোকপি।৪. স্ত্রীর জন্য ম্যারেজ সার্টিফিকেট ও বাচ্চাদের জন্য তাদের জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট।
৫. পরিবারের কোনো সদস্যের বয়স যদি ১৮ বছরের উপরে হয় তাহলে তার জন্য নিজ ইউনিয়ন/উপজেলা/পৌরসভা অথবা সিটি কর্পোরেশন থেকে চারিত্রিক সনদপত্র নিতে হবে।
আনুষঙ্গিক তথ্য
১. ভিসা আবেদন ফর্মটি আরবিতে টাইপ করতে হবে এবং পাসপোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সকল তথ্য পূরণ করতে হবে।
২. আবেদন ফরম ও সাথে দেওয়া প্রতিটি কাগজ অবশ্যই স্পষ্ট ও ক্লিয়ার হতে হবে।৩. যাদের জন্য আবেদন করা হবে তাদের সকলকে বাংলাদেশে অবস্থিত ঢাকা বা সিলেটের কাতার ভিসা সেন্টারে মেডিকেল পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে হবে।
৪. আপনার দেওয়া তথ্যগুলি কাতারের ভিসা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করার পর ভিসা এপ্রুভালের অনুমোদন প্রদান করবে।৫. প্রতিটি আবেদনের জন্য ২০০ কাতার রিয়েল প্রদান করতে হবে।
৬. আবেদনকারীরা চাইলে মাতরাশ-২ অথবা হুকুমি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও আবেদন করতে পারবেন।
এদিকে সাময়িক বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশিদের জন্য আবারও উন্মুক্ত হয়েছে কাতারের শ্রমবাজার। একই সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান করায় দুই দেশের সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রবাসীদের কাতারের আইন মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন কমিউনিটির নেতারা।
গত বছর জুলাইয়ে বাংলাদেশি প্রবাসীদের হাতে নেপালের দুই নাগরিক খুন হওয়ার পর কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য ভিসা বন্ধ করে দেয় কাতার সরকার। এতে বাংলাদেশ থেকে দেশটিতে জনশক্তি রফতানি বন্ধ হয়ে যায়।
২০২২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসবে কাতারে। এ উপলক্ষে দেশটিতে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। এজন্য বিদেশি জনশক্তিকে কাজে লাগাতে চায় কাতার। এক্ষেত্রে, বিদেশি কর্মী নিয়োগে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।