মাঘের শীতে খালে পাওয়া গেলো নবজাতক – নাম দেয়া হলো ‘মুজিবুর রহমান’ !!
মাঘের কনকনে শীতে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা-টাটেরা গ্রামের একটি খাল থেকে এই পুত্র নবজাতককে উদ্ধার করেছিলেন মনোয়ারা বেগম নামে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধা। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ভোরে সেই নবজাতকটিকে উদ্ধার করেন তিনি। কুড়িয়ে পাওয়া ওই নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে ‘মুজিবুর রহমান’। পরে ওই নবজাতকের দায়িত্ব নেন বাড়েরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. শাহিন আলম।
শাহিন আলম জানান, ‘আমার নয় বছর বয়সী এক মেয়ে আছে। তার নাম ফাহমিদা আক্তার সুমা। আমার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটির নাম রেখেছেন ‘মুজিবুর রহমান’।’ তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে মেরে ফেলতে অনেক ষড়যন্ত্র করেছিল পাকিস্তানী শত্রুরা। কিন্তু শত চেষ্টা করেও শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারেনি তারা। জাতির পিতা শত বাধা উপেক্ষা করে নিজের জীবন বাজি রেখে দেশকে শত্রুমুক্ত করে দেশকে স্বাধীনতা দিয়েছেন।’
আর এক মা সমাজের কলঙ্ক থেকে নিজের মুক্তি পেতে ওই শিশুটিকেও মেরে ফেলার ষড়যন্ত্রে রাতের অন্ধকারে কাদা-পানির খালে ফেলে দিয়েছিলেন। মাঘের কনকন শীতে নির্জন অন্ধকারে পড়ে থাকা ওই শিশুটিও জন্মের পর থেকেই জীবনের সাথে অসম যুদ্ধ করেছে। তাই ওর নাম রাখা হয়েছে ‘মুজিবুর রহমান’। শাহিন আলম আরও জানান, ‘গত ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে শিশুটিকে পাওয়ার সাথে সাথে আমি চান্দিনার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। ৪-৫ দিন পর সে আবারো অসুস্থ হয়ে পড়ে।
পরে তাকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ শিশু ইউনিটে। সেখানে ১০ দিনের চিকিৎসা শেষে বাড়িতে আনি। আল্লহর রহমতে এখন অনেকটা ভালো আছে মুজিব। শিশু মুজিবের সুস্থতায় সকলের কাছে দোয়া চান ওই ওয়ার্ড মেম্বার।’ শিশুটিকে কুড়িয়ে নিয়ে নিজের সন্তানের স্নেহে লালন-পালন করায় স্থানীয় এলাকাবাসী ওয়ার্ড মেম্বার শাহিন আলমের ভূয়সী প্রসংশা করেন।