জ্বীনের বাদশার নি’র্যাতনে কলেজছাত্রী করুন অবস্থা !!
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জ্বীনের বাদশা সেজে এক কলেজ ছাত্রীকে (২০) নি’র্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নি’র্যাতনের শিকার ওই কলেজ ছাত্রী মৃ’ত্যুশয্যায় রয়েছেন। উপজেলার মাদারিয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে কথিত জ্বীনের বাদশা হাজী দারোগ আলী পলাতক রয়েছেন। এদিকে স্থানীয়ভাবে কথিত জ্বীনের বাদশা দারোগ আলী প্রভাবশালী হওয়ায় আত’ঙ্কে রয়েছে পিতৃহীন অসহায় শাহনাজের পরিবার।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শাহনাজ তার মা ও এক প্রতিবন্ধী চাচার সাথে বসবাস করতেন। হঠাৎ সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় প্রতিবেশী হাজী দারোগ আলী তাকে দেখতে এসে বলে, ‘শাহনাজকে জ্বীনে ধরেছে। জ্বীনের বাদশা ছাড়া তাকে বাঁচানো যাবে না।’ এসময় দারোগ আলী নিজেকে জ্বীনের বাদশা দাবি করে ওই কলেজ ছাত্রীর সারা শরীরে স্পর্শ করে ঝাড়-ফুঁক দিতে থাকে। এক পর্যায়ে কথিত জ্বীনের বাদশা দারোগ আলী ওই ছাত্রীকে ব্যাপক মা’রধর করে শা’রীরিক নি’র্যাতন করে।
পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাক রাত বারটার দিকে শাহনাজকে পার্শ্ববর্তী ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে শাহনাজের শা’রীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সকালে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে। কিন্তু নি’র্যাতনকারী কথিত জ্বীনের বাদশার প্রভাবে সেদিনই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুমুর্ষু অবস্থায় শাহনাজকে ছুটি দিয়ে দেয়। পরে শাহনাজকে বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে সে তার নিজ বাড়ীতে মৃ’ত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।