ছাত্রজীবনে যা যা করতেন পাপিয়া !!
র্যাবের হাতে ধরা পড়ার পর একে একে বেরিয়ে আসছে শামিমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউয়ের নানা অপকর্মের কথা। গ্রামের সাধারণ মেয়ে থেকে পাপিয়া কীভাবে এত বড় অপরাধী হয়ে উঠলেন, এ নিয়ে যেন পুরো দেশই অবাক। জানা যায়, প্রেমিকের হাত ধরে ধীরে ধীরে অপরাধ জগতে পা রাখেন তিনি। পরে অবশ্য প্রেমিককেই টেক্কা দেন।
নরসিংদী সরকারি কলেজে পড়ার সময় ছাত্রী হোস্টেলে আস্তানা গড়ে তুলেন পাপিয়া। ২০০৬ সালের দিকে এই কলেজে প্রথম ছাত্রী হোস্টেল উদ্বোধন হয়। ওই সময় হোস্টেলের ওই কক্ষটি পাপিয়ার আস্তানা বলেই পরিচিত ছিল। সেখানে অনেক বহিরাগত ছাত্রীর যাতায়াত ছিল। ওই সময় কোনো কোনো ছাত্রীকে প্রলোভন ও চাপ দিয়ে খারাপ পথে নিয়েছিলেন তিনি। তখনও স্থানীয় অনেকে এসব কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে অবগত ছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানায়, নরসিংদী সরকারি কলেজেই সুমনের সঙ্গে পরিচয় হয় পাপিয়ার। পরিচয় হওয়ার পর তারা ঘনিষ্ঠ হতে থাকেন। বন্ধু থেকে মতি সুমনের প্রেমিকা হন। পরে তারা বিয়ে করেন।সুমনের হাত ধরে রঙিন দুনিয়ার সঙ্গে পরিচয় শুরু হয় পাপিয়ার। কলেজের সাধারণ ছাত্রী হয়েও সুমনের মাধ্যমে প্রথমে নরসিংদীর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে পরিচয় হয় তার।
বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় অনেক রাজনৈতিক নেতা পাপিয়াকে তাদের কাজে ব্যবহার করতে শুরু করেন। সেখান থেকেই শুরু হয় পাপিয়ার বেপরোয়া জীবন। সুমনের হাত ধরে পাপিয়ার উত্থান হলেও একপর্যায়ে প্রভাব-প্রতিপত্তি আর ক্ষমতায় স্বামীকেও ছাড়িয়ে যান তিনি।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির উত্তর বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান বলেন, পাপিয়া-সুমন দম্পতি ও তাদের সহযোগীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সত্য তথ্য বের করা হবে।