ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অন্তঃসত্ত্বা হবু স্ত্রীও করোনাভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত !!
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনাভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় তার অন্তঃসত্ত্বা হবু স্ত্রীও এ ভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত হয়েছেন। রোববার টুইটারে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জনসনের হবু স্ত্রী কেরি সাইমন্ডস।
তিনি বলেন, এক সপ্তাহ ধরে আমি করোনাভা’ইরাসের মূল উপসর্গ নিয়ে বিছানায় আছি। বরিস জনসন করোনায় আ’ক্রান্ত হওয়ার পর থেকে আইসোলেশনে রয়েছেন। এর মধ্যেই ৩২ বছর বয়সী কেরি সাইমন্ডসও করোনায় আ’ক্রান্ত হয়েছেন।ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মাত্র মাসখানেক আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, খুব শিগগির অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবী কেরি সাইমন্ডসকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন। কিন্তু এক সপ্তাহের ব্যবধানে এখন সবকিছু ওলটপালট হয়ে গেছে।
ব্রিটেনে বাড়ছে বেকারত্ব : করোনা ম’হামারীর কারণে ব্রিটেনে বেকারত্ব ও দরিদ্রতা বাড়ছে। লকডাউন জারি হওয়ার পর দেশটিতে মানুষের চাকরি হারানোর হার বাড়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত এক দশকের বিশ্বমন্দার পর করোনার ছোবল ব্রিটেনের অর্থনীতিকে আরও বিপর্যস্ত করে তুলেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের ১৪ মিলিয়নেরও বেশি অর্থাৎ এক-চতুর্থাংশ জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমায় বসবাস করছে। প্রায় ৪.২ মিলিয়ন শিশু দরিদ্র, যা মোট শিশুর ৩০ ভাগ।
সামাজিক পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা সংগঠন জোসেফ রাউন্ট্রি ফাউন্ডেশনের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ডেভ ইনেস বলেন, অল্প বেতনে বা অনিরাপদ কাজ করেন এমন শ্রমিকদের ক্ষেত্রে দারিদ্র্যের ঝুঁকিটা বেশি। গত ১৫ দিনে যুক্তরাজ্যের প্রায় দশ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ সরকারি সহায়তার ইউনিভার্সেল ক্রেডিটের জন্য আবেদন করেছেন। এটি অন্য সময়ের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি।
ব্রিটেনের চাইল্ড প্রভার্টি অ্যাকশন গ্র“পের পরিচালক লুইসা ম্যাকগিহান বলেন, ম’হামারীর আগে যে পরিবারগুলো মোটামুটি অর্থ উপার্জন করতেন এখন তারা দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছেন। আর যারা আগে থেকে দরিদ্র ছিলেন তাদের অবস্থা আরও শোচনীয়।