করোনা বিস্তারে ভারতে মুসলমানদের দায়ী করার চেষ্টা লজ্জাজনক – ওআইসি !!
করোনা ইস্যুতে ভারতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা ওআইসির মানবাধিকার বিষয়ক কমিটি।রোববার (১৯ এপ্রিল) সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে ওআইসির মানবাধিকার কমিটির এক বিবৃতিতে ভারত সরকারের ইসলামফোবিয়ার বিষয়ে সমালোচনা করা হয়। খবর আনাদোলু ও জিয়ো নিউজের।ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের প্রতি চরম বৈষম্যমূলক আচরণ ও নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
ওআইসি’র বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়, ভারতের নিপীড়িত সংখ্যালঘু মুসলমানদের অধিকার নিশ্চিত করতে ভারত সরকারকে এখনই পদক্ষেপ নেয়া উচিত।ভারতে ইসলামভীতি ছড়ানো এবং করোনা ভা’ইরাস বিস্তারে মুসলমানদেরকে দায়ী করার চেষ্টাকে লজ্জাজনক হিসেবে অভিহিত করে সেদেশে মুসলমানদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য নয়া দিল্লির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ওআইসি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ভারতের গণমাধ্যমগুলোতে নেতিবাচক প্রচারণার কারণে মুসলমানরা বৈষম্য ও সহিংসতার স্বীকার হচ্ছে।প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে তাবলিগ জামাতের জমায়েতকে কেন্দ্র করে ভারত সরকার এবং তাদের পক্ষপাতদুষ্ট মিডিয়া একচেটিয়াভাবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করতে থাকে। ফলে ভারতীয় মুসলমানরা এক প্রকার হুমকির মধ্যে রয়েছে।
এ ঘটনার ফলে হিন্দু মুসলমানদের মাঝে সহিংসতা বৃদ্ধি পায় এবং ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মুসলমানদের ওপরে অসহনীয় অত্যাচার ও নিপীড়ন চলতে থাকে। ভারতে করোনা আ’ক্রান্ত মুসলমানদের স্বাস্থ্যসেবা পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে তাবলিগ জামাতকাণ্ডের পর ‘মুসলমানরাই করোনাভা’ইরাস ছড়াচ্ছে’- এমন গুজব ছড়িয়েছে পুরো ভারতজুড়ে। করোনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশটিতে বেড়েছে ইসলাম বিদ্বেষ। ঘটছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা।
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুজরাটের আহমেদাবাদে একটি সরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীদের ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করে আলাদা আলাদাভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহমেদাবাদের সিভিল হাসাপাতালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেটি সরকারি নির্দেশ।
জিয়ো নিউজ উর্দূ অবলম্বনে- মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ