করোনায় মৃ’তদের দাফনে সারা দেশে ইকরামুল মুসলিমীনের বিশেষ টিম !!
করোনাভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত হয়ে মৃতব্যক্তির কাফন-দাফনে সারা দেশে স্বেচ্ছাসেবী টিম তৈরি করছে সামাজিক সেবামূলক সংগঠন ‘ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশন’।
ইতিমধ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে দেশের ৬৪ জেলার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় টিমের পক্ষ থেকে সারা দেশে স্বেচ্ছাসেবী টিমের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছেন সংগঠনটির দায়িত্বশীলরা।ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক, মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ জানিয়েছেন, সারা দেশে ৬৪ জেলায় একজন করে নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে টিম গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অধিকাংশ জেলায় টিম প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
তিনি বলেন, ঢাকার বিশেষ টিম নিজস্ব গাড়ি নিয়ে দাফন-কাফনে অংশগ্রহণ করবে। বাকি জেলা বা জোনগুলোতে নিজস্ব গাড়ি না থাকলে মৃতের পরিবারকে যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে অথবা সরকার কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা হলেই আমাদের টিম খেদমতে যাবে।
তিনি বলেন, আমাদের জেলা স্বেচ্ছাসেবক টিমগুলো স্ব-স্ব জেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তারা জেলা স্বেচ্ছাসেবক টিম ও কেন্দ্রীয় তদারকি টিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সবাই স্বেচ্ছাসেবী টিমে কাজ করতে মুখিয়ে আছেন। মানবতার এ দুর্দিনে তারা নিঃস্বার্থভাবে মানবসেবা করতে দৃঢ়তার সঙ্গে প্রস্তুতি নিয়েছেন।
ইতিমধ্যে ঢাকায় বিশেষ টিমসহ অনেকগুলো জেলা ও থানা টিম গঠিত হয়েছে। ঢাকার বিশেষ টিমের সদস্য মুফতি আব্দুর রহমান কোব্বাদী ও ইমতিয়াজ উদ্দীন সাব্বির বলেন, বিশ্বব্যাপী মহামারী পরিস্থিতি বলছে- এক-দুদিনেই পরিত্রাণ পাওয়া যাবে না, বরং (আল্লাহ না করুন) ভবিষ্যতে প্রকট আকার ধারণ করতে পারে এই মহামারী।
তিনি বলেন, আমরা এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের এলাকায় করোনায় মৃতব্যক্তির লাশ দাফন-কাফনে যখনই ডাকবেন আমরা আমাদের নিজস্ব গাড়ি নিয়ে হাজির হব ইনশাআল্লাহ।ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশন কাফন-দাফনের পাশাপাশি সামাজিক সেবায়ও কাজ করে যাচ্ছে।এ ব্যাপারে প্রচার সম্পাদক মাওলানা এহসান সিরাজ বলেন, শুধু কাফন-দাফনই নয়, লকডাউনের শুরু থেকেই সামাজিক সেবায় অবদান রেখে চলেছে ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশন।
তিনি আরও জানান, চাল, ডাল, আলু ও সয়াবিনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করি আমরা। বর্তমানে জেলাভিত্তিক টিম থেকে ডাটা গ্রহণ করে গরীব, দিনমজুর ও টলতে না পারা অসহায় পরিবারের বিকাশ অ্যাকাউন্টে নগদ অর্থ পাঠাচ্ছি।এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চল থেকে শুরু করে সাভার, মুগদা, সাইনবোর্ড, হবিগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর নোয়াখালী লক্ষ্মীপুর, হাতিয়া প্রভৃতি এলাকায় প্রায় দেড় হাজার মানুষের কাছে অনুদান পৌঁছিয়েছি।
সূত্রঃ যুগান্তর