যেভাবে শরীরে বাসা বাঁধে করোনা’ভা’ইরাস !!
প্রাণঘা’তী করো’না’ভা’ইরাস সামাল দিতে এখন হিমশিম খাচ্ছে সারাবিশ্ব। বিশ্বব্যাপী আ’ক্রা’ন্ত ও মৃ’তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।চীনের হুবেইপ্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভা’ই’রাস চার মাসে বিশ্বজুড়ে মৃ’তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৭৭ হাজার ৬৪০ জন।
এখন প্রশ্ন হলো– এই ভা’ই’রাস কীভাবে দেহে আ’ক্রম’ণ করে? কেন করে? আর কেন মানুষ এই রোগে মা’রা যায়?
ইনকিউবেশন বা প্রাথমিক লালনকাল
এই ভা’ই’রাস শরীরে প্রবেশ করার পর নিজেকে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করে। শরীর গঠন করা কোষগুলোর ভেতরে প্রবেশ করে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়ার মাধ্যমে কাজ করে এ ভা’ই’রাস।এই ভা’ই’রাসের আনুষ্ঠানিক নাম সার্স-সিওভি-২, যা নিঃ’শ্বা’সের সঙ্গে দেহে প্রবেশ করতে পারে (আশপাশে কেউ হাঁচি বা কাশি দিলে) বা ভা’ই’রাস সং’ক্র’মিত কোনো জায়গায় হাত দেয়ার পর আপনার মুখে হাত দিলে।
শুরুতে গলা, শ্বাসনালি ও ফুসফুসের কোষে আ’ঘা’ত করে এবং সেসব জায়গায় ক’রো’নার কারখানা তৈরি করে। পরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নতুন ভা’ই’রাস ছড়িয়ে দেয় এবং আরও কোষকে আ’ক্রা’ন্ত করে।এই শুরুর সময়টাতে আপনি অসুস্থ হবেন না এবং কিছু মানুষের মধ্যে হয়তো উপসর্গও দেখা দেবে না।প্রথম সং’ক্র’মণ ও উপসর্গ দেখা দেয়ার মধ্যবর্তী সময়ে স্থায়িত্ব একেকজনের জন্য একেক রকম হয়। কিন্তু গড়ে তা পাঁচ দিন।
করোনায় প্রধান উপসর্গগুলো হলো-
কোভিড ১৯-এর প্রধান উপসর্গ কাশি ও জ্বর। এ ছাড়া শরীরে ব্যথা, গলাব্যথা ও মাথাব্যথাও হতে পারে।শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা ভা’ই’রাসটিকে শত্রুভাবাপন্ন একটি ভা’ই’রাস হিসেবে শনাক্ত করে এবং বাকি শরীরে সাইটোকাইনস নামক কেমিক্যাল পাঠিয়ে বুঝিয়ে দেয় কিছু একটা ঠিক নেই। এর কারণে শরীরে ব্যথা ও জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
প্রাথমিকভাবে ক’রো’না’ভা’ই’রাসের কারণে শুষ্ক কাশি হয়। কোষগুলো ভা’ই’রাসের মাধ্যমে সং’ক্র’মিত হওয়ার কারণে অস্বস্তিতে পড়ায় সম্ভবত শুকনো কাশি হয়ে থাকে।
কী করবেন?
এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে পরিপূর্ণ বিশ্রাম, প্রচুর তরল পান করা এবং প্যারাসিটামল খাওয়ার উপদেশ দেয়া হয়ে থাকে। এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতাল বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা