জেনে নিন আজানের আগ পর্যন্ত কি সেহরি খাওয়া যাবে ??
প্রশ্ন : আমরা তো হাদিসগুলোতে শুনি, তোমরা আজান পর্যন্ত সেহরি খাও। যেমন—একটি হাদিসে আছে, ‘তোমরা ইবনে উম্মে মাকতুম আজান দিলে খেও না, বেলাল আজান দিলে খাও’। কিন্তু এখন আমরা ঘোষণা শুনি যে, ‘সেহরির সময় শেষ হলো এবং আরো বলে ছয় মিনিট পর আজান শুনতে পাবেন।’ আমার প্রশ্ন, আমরা কি আজান পর্যন্ত খাব, নাকি সেহরির শেষ সময় যেটাকে বলে, সেই সময় পর্যন্ত খাব?
উত্তর : আপনি যে হাদিসটি উল্লেখ করেছেন, আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.)-এর আজান পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ (সা.) খেতে বলেছেন, এটি সহিহ সনদে সাব্যস্ত হয়েছে। তাই আজান পর্যন্তই মূলত সেহরি খাওয়া জায়েজ।এখানে সতর্কতার জন্য আমাদের লোকরা সেহরির একটা নির্দিষ্ট সময় ঘোষণা করেছেন যে, এই হলো শেষ সময়। কিন্তু এই শেষ সময়ের অর্থ এই নয় যে, সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। বরং হাতে কিছু সময় রাখা হয়েছে। সেটা হতে পারে দুই মিনিট বা পাঁচ মিনিট।
এটা উল্লেখ করা রয়েছে ক্যালেন্ডারের মধ্যে, যেটা আপনি ক্যালেন্ডার দেখলে বুঝতে পারবেন। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ক্যালেন্ডার দেখলে আপনি দেখবেন, কখন সুবহে সাদেক উদিত হয়, তা স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে। কখন সূর্যোদয় হয়, কখন সূর্যাস্ত হয়, সেটা স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু রমজানের এই ক্যালেন্ডারের মধ্যে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট অতিরিক্ত সময় রেখে এমসাক বা বিরত থাকার জন্য সময় নির্ধারণ করে নেওয়া হয়েছে। ফলে এখানে কিছুক্ষণ সময় থেকে যায়।
আর পাঁচ মিনিটে আপনি ইচ্ছা করলে তাড়াহুড়ো করে পরিপূর্ণ খাবারও গ্রহণ করতে পারেন। তাই এটি নাজায়েজ নয়, আপনি আজান পর্যন্তই খেতে পারবেন, এটি জায়েজ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হাত্তা ইয়ু আত্তিনা ইবনে উম্মে মাকতুম আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (তোমরা পানাহার করো আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.)-এর আজান পর্যন্ত)’। আর তিনি আজান দিতেন, যখন সুবহে সাদেক স্পষ্ট হয়ে যেত। তাকে বলা হতো যে সুবহে সাদেক উদিত হয়ে গিয়েছে, তখন তিনি আজান দিতেন।তাই মূল কথা হলো, সুবহে সাদেক স্পষ্টভাবে উদিত হওয়া পর্যন্তই সেহরি খাওয়ার শেষ সময়।