করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে দুই শতাধিক বাংলাদেশি প্রবাসীর মৃ’ত্যু !!
যুক্তরাষ্ট্রে প্রা’ণঘাতী করোনা ভা’ইরাসে মৃ’তের সংখ্যা ৫২ হাজার ছাড়িয়েছে। শুক্রবার একদিনেই দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন এক হাজার ৯শ’ ৫১ জন। নতুন করে আ’ক্রান্ত হয়েছেন রেকর্ড সংখ্যক আরো সাড়ে ৩৯ হাজার মানুষ। এ নিয়ে আ’ক্রান্তের সংখ্যা ৯ লাখ ছাড়াল। করোনার এমন ভয়াবহতায় আতঙ্কিত দেশটির সাধারণ মানুষসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা। শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) আরও ৪ জনসহ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের মৃ’তের সংখ্যা ২শ ছাড়িয়েছে। এদিকে, করোনা প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র সফলতা পাচ্ছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। করোনা ভা’ইরাসে আ’ক্রান্তদের অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে সুস্থ হওয়া ৬০০ তম রোগী বাড়ি ফেরার সময় এভাবেই শুভেচ্ছা জানান হাসপাতালকর্মী এবং স্বজনরা।
কোভিড নাইন্টিনে যুক্তরাষ্ট্রে মৃ’তের সংখ্যা অর্ধলক্ষ ছাড়িয়েছে। চলমান লকডাউনের মধ্যেই ভার্জিনিয়া, টেক্সাস, জর্জিয়াসহ কয়েকটি এলাকায় দোকানপাট, ব্যবসা বাণিজ্য চালু হচ্ছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের আ’ক্রান্ত ও মৃ’ত্যুর মধ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অঙ্গরাজ্যগুলোর গভর্নররা। সামাজিক দূরত্ব বজায় কঠোরভাবে মেনেই দোকান পাট চালু করা হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
একজন বলেন, রেস্টুরেন্ট খোলার পর সারাদিন একজনও ক্রেতা পাইনি, তবে বিকেলের পর একটা টেবিলও ফাঁকা ছিলো না। আসলে এতোদিন ধরে রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকায় সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু হলেও আ’ক্রান্ত ও মৃ’তের সংখ্যা বেশি থাকায় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিয়ত লড়াই করে যাচ্ছে কোভিড নাইন্টিনের সাথে। করোনার ভয়াবহতায় আতঙ্কিত, দেশটির সাধারণ মানুষসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার হোয়াইট হাউসে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন করোনা প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র সফলতা পাচ্ছে, কমছে আ’ক্রান্তের হার।
ট্রাম্প বলেন, আমরা প্রতিদিনই প্রমাণ পাচ্ছি যে, আমাদের নেয়া পদক্ষেপগুলো খুব দ্রুত কাজ করছে আর দেশজুড়ে আ’ক্রান্তের সংখ্যা কমছে। গত সপ্তাহে নিউইয়র্কে যাদের টেস্ট করা হয়েছিলো তাদের মধ্যে ৩৮ শতাংশ করোনা পজেটিভ ছিলো। এ সপ্তাহে তা ২৮ শতাংশে নেমে এসেছে। ১৮টি রাজ্যে আ’ক্রান্তের হার কমে এসেছে। পরিস্থিতির উন্নতিতে অনেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালুর কথা ভাবছেন।
তবে ট্রাম্প বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আ’ক্রান্ত হয়ে অর্ধলক্ষাধিক মানুষের মৃ’ত্যুর দায়ভার তিনি নেবেন না। তার মতে তার সরকার অসাধারণ ভূমিকা পালন করছে এই ম’হামারি মোকাবিলায়। হাসপাতালকর্মীসহ করোনা ম’হামারিতে যারা তাদের ক্ষুদ্র ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন বা চাকরি হারিয়েছেন তাদের জন্য ৪০ হাজার কোটি ডলার অর্থ সহযোগিতার বিলে স্বাক্ষর করার সময় এ কথা বলেন তিনি।
তবে কোভিড নাইন্টিনে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারের বিষয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাম্প বলেছিলেন এ ওষুধ করোনা ভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। তবে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন এফডিএ-র দাবি করোনায় আ’ক্রান্ত রোগী এজিথ্রোমাইসনের মত অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে ম্যালেরিয়ার ওষুধটি খেলে যাদের হৃদযন্ত্র এবং কিডনির জটিলতা আছে তাদের জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এমন দাবি করেছেন মার্কিন কয়েকজন ডাক্তারও।
তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এসব মতামত উপেক্ষা করে আবারও বললেন ম্যালেরিয়ার এ ওষুধটি করোনা আ’ক্রান্ত রোগিকে সুস্থ করে তুলতে যথেষ্ট কার্যকর। এ ওষুধ ব্যবহারে যথেষ্ট উপকার পাওয়ায় হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বলেও জানান ট্রাম্প। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলো হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ওষুধটি ব্যবহার করবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা।