করোনা নিয়ে গবেষণা – বাংলাদেশের জন্য মিলল সুখবর !!
অতি সম্প্রতি করোনায় আ’ক্রান্ত মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদ করে বিজ্ঞানীরা নতুন আশার বাণী শুনিয়েছেন। বেরিয়ে এসেছে এমন নতুন তথ্য, যার আলোকে সুখবর মিলেছে বাংলাদেশের জন্যও।নতুন পরীক্ষায় দেখা গেছে, করোনাভা’ইরাস রক্তের হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে আটকে থাকে, যার দরুণ অক্সিজেন ঠিকভাবে হিমোগ্লোবিনে পৌঁছাতে পারে না। ফলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়, মারা যায় অনেক মানুষ। এই সমীকরণের ওপর দাঁড়িয়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেসব অঞ্চলে থ্যালাসেমিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি সেসব এলাকায় অনেক মানুষ বেঁচে যাবে করোনার সংক্রমণ থেকে। উল্লেখ্য, থালাসেমিয়া রোগী সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও চীনে। এর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
থ্যালাসেমিয়ায় আ’ক্রান্ত রোগীরা কীভাবে বেঁচে যেতে পারে, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। থ্যালাসেমিয়ায় (রক্তের এক ধরনের সমস্যা) আ’ক্রান্ত হলে রক্তের হিমোগ্লোবিনের প্রোটিন পরিবর্তিত হয়, যার কারণে করোনাভা’ইরাস হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে না। এই সিদ্ধান্তের পেছনে প্রমাণও হাজির করা হয়েছে। দক্ষিণ ইতালির একটি শহরে প্রচুর থ্যালাসেমিয়া রোগী, দেখা গেল দেশটিতে করোনার সংক্রমণ তুঙ্গে থাকলেও আ’ক্রান্ত হননি ওই শহরের মানুষ।
গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে আরেকটি নতুন তথ্য। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যারা যত ওপরে অবস্থান করবে, করোনাভা’ইরাস তাদের দেহে সংক্রমণ করতে পারবে তত কম, কারণ সেখানে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেশি থাকে।
উদাহরণ হিসেবে নেপালের কথা বলা যায়। কমবেশি প্রায় ২০০০ মিটার (২ কিলোমিটার) ওপরে দেশটির অবস্থান। তাই সেখানে করোনার সংক্রমণ নেই বললেই চলে। মার্চের ২৩ তারিখে প্রথম রোগী শনাক্ত হয় সেখানে। এই এক মাসেরও অধিক সময়ে মোট আ’ক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ৪৯ জন। একজনও মারা যায়নি। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১ জন।
আসলে করোনাভা’ইরাস প্রতিনিয়ত তার বৈশিষ্ট্য বদল করে চলেছে। তাই নির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে খেই হারিয়ে ফেলছেন গবেষকরাও। তবে বরাবরের মতোই নতুন গবেষণায়ও প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে করোনাভা’ইরাস থেকে মুক্তির কথা বলছেন গবেষকরা। আ’ক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হওয়া কোনো ব্যক্তির রক্ত থেকে নেওয়া এন্টিবডি (ইমিউনোগ্লোবিন) যদি ওই ভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত অন্য রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হয় তবে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে মত তাদের।