টাঙ্গাইলে অ্যাম্বুলেন্স চালকের দেহে করোনা – তিন বাড়ি লকডাউন !!
টাঙ্গাইলের সখীপুরে অ্যাম্বুলেন্স চালক সোনা মিয়ার (৩৫) করোনাভা’ইরাস শনাক্ত হওয়ায় ওই চালকের বাড়িসহ তিনটি বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ সোমবার (২৭ এপ্রিল) ওই চালককের করোনা করোনা টেস্ট রেজাল্ট পজিটিভ বলে জানায় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লে। তারপর ইউএনও ওই বাড়িতে গিয়ে তাকে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করেন এবং ওই বাড়িসহ আশেপাশের তিনটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেন।
জানা যায়, তিনি সখীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তাঁর পিতার নাম মজিবর রহমান। তিনি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের মালিক ও চালক। সর্বশেষ তিনি দুই সপ্তাহ আগে সখীপুরের বন থেকে উদ্ধার হওয়া নারীকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সযোগে প্রথমে রাজধানীর কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন। আজ সোমবার সকালে ওই চালকের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। গত শনিবার ওই চালক কোনো উপসর্গ ছাড়া নিজের ইচ্ছাতেই হাসপাতালে এসে নমুনা দিয়ে যান। পরে তাঁর নমুনা ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছিল। আজ সোমবার (২৬ এপ্রিল) সকালে টাঙ্গাইল সিভিল সার্জনের মাধ্যমে খবরটি উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগের কাছে আসে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সোবহান আজ বেলা ১১টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে সখীপুরে একই পরিবারের পাঁচজনসহ মোট সাতজনের করোনাভা’ইরাস শনাক্ত হলো।
উপজেলা করোনাভা’ইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সোবহান আজ সোমবার বলেন, ওই অ্যাম্বুলেন্স চালকের করোনাভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত নিশ্চিত হওয়ার পর সকালেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি বেলা ১১টায় রোগীর দোতলা ভবনটি লকডাউন ঘোষণা করেন। তাঁর সংস্পর্শে আসা হাসপাতালের কয়েকজন ও ওই ভবনের নয় সদস্যের নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে। অন্যদিকে ওই অ্যাম্বুলেন্স চালককে তাঁর বাড়ির একটি পৃথক কক্ষে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, অ্যাম্বুলেন্স চালকের বাড়িটি সহ তিনটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
সূত্রঃ বিডি২৪লাইভ