ঋণের সুদ নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না – প্রধানমন্ত্রী !!
করোনাভা’ইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ব্যবসা পরিচালনার জন্য নেয়া ঋণের সুদ নিয়ে ব্যবসায়ীদের দুশ্চিন্তা না করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যারা ইতোমধ্যে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করেছেন, কিন্তু করোনাভা’ইরাসের কারণে এই ক’মাস সবকিছু বন্ধ দেখে আপনাদের তো ঋণের সুদ হয়ে গেছে, সেটার জন্য আপনারা চিন্তা করবেন না। কারণ, এই সুদ এখনই নেয়ার কথা না।সোমবার সকালে গণভবন থেকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বসব, কাজেই সুদগুলো যেন স্থগিত থাকে এবং পরবর্তী সময়ে কতটুকু মাফ করা যায়, কতটুকু আপনারা নিয়মিত দিতে পারেন, সেটি বিবেচনা করা হবে, দুশ্চিন্তায় ভুগবেন না। তিনি বলেন, এইটুকু আমি বলব, এটাই আমাদের সব থেকে বড় কথা, মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা আর আমাদের জীবন-জীবিকার পথটা উন্মুক্ত রাখা।
এদিন দীর্ঘ ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলা-রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট ও নাটোর জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা ও করণীয় কী, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার আলোচনায় দেশবাসীকে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানান। করোনা নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি শিগগির শেষ না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার কথাও উল্লেখ করেন সরকারপ্রধান। করোনা মোকাবেলায় শিগগির ২ হাজার ডাক্তার ও ৬ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়ার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিরদিনই অন্ধকার থাকে না, আবার আলোর পথে যাত্রা করব।
প্রসঙ্গত, এর আগে প্রধানমন্ত্রী করোনাভা’ইরাস পরিস্থিতি নিয়ে পাঁচ দফা পৃথক ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, বরিশাল এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৫১টি জেলার সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
সোমবারের ভিডিও কনফারেন্সে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার এবং ঘরে অবস্থান করার জন্য আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর প্রতি মনোযোগ দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশবাসীকে অনুরোধ করব, কৃষিতে মনোযোগ দিতে। আপনারা কৃষি উৎপাদন বাড়ান। তাতে আমরা নিজেরা যেমন খেতে পারব, অন্যদেরও সাহায্য করতে পারব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ বিশেষজ্ঞরা মন্দা বা দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করছেন। এ জন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। বেশি করে খাদ্যশস্য ফলাতে হবে। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। কৃষি এখন সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ থেকে খাদ্যশস্য, সবজি, মসলা, মাছ-মাংস সবই পাওয়া যায়।আস্তে আস্তে বিধিনিষেধ শিথিল করার আভাস দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, জীবনযাপনের কিছু কিছু ক্ষেত্র ধীরে ধীরেউন্মুক্ত করতে হবে। এখন কিছু কিছু ফসল উঠছে। এরপর ফসল লাগাতে হবে। সেখানেও সবাই নিজেদের সুরক্ষিত রেখেই কাজ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে আমাদের ক্ষুদ্র-মাঝারি চাষী, কৃষিতে যারা সরাসরি কাজ করে থাকে, ডেইরি ফার্ম যাদের আছে, মৎস্য ফার্ম যাদের আছে, পোলট্রি ফার্ম যাদের আছে- প্রত্যেকেই ওইখান (প্রণোদনা) থেকে সহযোগিতা পাবেন। সবাই কিন্তু ওইখান থেকে অর্থ নিয়ে কাজ করতে পারবেন এবং এখানে আমরা প্রায় ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ভর্তুকি দিচ্ছি। কাজেই এ ব্যাপারে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছি।
ধীরে ধীরে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যদি নিজেদের সুরক্ষিত রেখে এই সংক্রমণের হার কমাতে পারেন, মৃত্যুর হার কমাতে পারেন, তাহলে আস্তে আস্তে যোগাযোগ-যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহন আরও বৃদ্ধি করার সুযোগ সৃষ্টি করব। এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে বলে দিয়েছি, পণ্য পরিবহনে কেউ বাধা দেবে না। পণ্য পরিবহনের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হবে।
করোনাভা’ইরাসের প্রকোপ অব্যাহত থাকলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অন্তত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। যদি-না এই করোনাভা’ইরাস অব্যাহত থাকে। যখন এটা থামবে, আমরা তখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলব। তিনি বলেন, সবাই সবাইকে সাহায্য করেন আর সবাই সুরক্ষিত থাকেন, যেহেতু এখন কিছু কিছু আমাদের যেমন ফসল উঠছে। এরপর ফসল লাগাতে হবে বা কিছু কিছু জীবনযাপন আমাদেরকে উন্মুক্ত করতে হবে। সে কারণে সবাই নিজেকে সুরক্ষিত রেখেই কাজ করবেন। সেটিই আমরা অনুরোধ করব।
তিনি বলেন, মানুষের কাজ নেই। বিশেষ করে আমাদের যারা একেবারে হতদরিদ্র তাদেরও আমরা সাহায্য দিচ্ছি। কিন্তু নিম্নবিত্ত এমনকি ছোটখাটো কাজ করে যারা খায় তাদের কষ্টের বিষয়টি আমরা জানি। আর সেই কারণে একেবারে ক্ষুদ্র ব্যবসা থেকে শুরু করে অর্থাৎ যেমন মৎস্য চাষী থেকে শুরু করে পোলট্রি, ডেইরি ফার্ম যারা করেন বা কৃষিকাজ করেন বা বিভিন্ন ধরনের ছোটখাটো ক্ষুদ্র ব্যবসা যারা করেন, প্রত্যেকের কথা চিন্তা-ভাবনা করে এবং অন্যান্য দিকে খেয়াল রেখে আমরা প্রায় এক লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি প্রণোদনা দিয়েছি এবং সেটা ভাগে ভাগে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, কাজেই যাদের এই যে ছোটখাটো ব্যবসাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তারা কিন্তু এখান থেকে মাত্র ২ শতাংশ সুদে আমরা টাকাটা দিয়ে দিচ্ছি। সেই ব্যবসাগুলো যাতে চালু রাখতে পারেন, তা আমরা দেখব।শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু যেসব জায়গায় এখনও এই রকম করোনাভা’ইরাস দেখা দেয়নি, ধীরে ধীরে আমরা সেই জায়গাগুলো আস্তে আস্তে শিথিল করে দিচ্ছি। যেন মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে বা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে, সেদিকে আমরা দৃষ্টি দিচ্ছি।
নতুন করে আরও দুই হাজার ডাক্তার ও ৬ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এরই মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। এই চিকিৎসক ও নার্সদের করোনা চিকিৎসার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। করোনা চিকিৎসার জন্য প্রত্যেক জেলায় আইসিইউর (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) ব্যবস্থা করা হবে। আমি নিজেই মিটিং করে এটি সব ঠিকঠাক করে দিয়েছি। এদের করোনার বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। বিদেশ থেকে লোক এনেও আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করাব। প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা চিকিৎসাসেবা দেবে। পর্যায়ক্রমে ৬৪ জেলায় এটি করা হবে। যাতে কোনো জায়গায় মানুষের চিকিৎসার অসুবিধা না হয়।
স্বাস্থ্যসেবা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা স্বাস্থ্যসেবার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছি। আমরা প্রত্যেক জেলায়ই ভালো হাসপাতালগুলোয় আইসিইউর ব্যবস্থা করব। পর্যায়ক্রমে সব জেলায়ই এটি করে দেব।
নাজিম উদ্দিন সারা বিশ্বের জন্য মহৎ দৃষ্টান্ত : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি করে নিজের জমানো দশ হাজার টাকা অসহায় মানুষের জন্য দিয়ে ভিক্ষুক নাজিম উদ্দিন একটা দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। এত বড় মানবিক গুণ আমাদের অনেক বিত্তশালীর মাঝেও দেখা যায় না। অনেক সময় দেখি, অনেক বিত্তশালী হা-হুতাশ করেই বেড়ায়। তাদের নাই নাই অভ্যাসটা আর গেল না। চাই চাই ভাবটা গেল না।
নাজিম উদ্দিনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের জন্য মহৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, আপনারা দেখেছেন। একজন ফকির, ভিক্ষা করে খায়, একটা সাধারণ মানুষ। এক সময় কৃষিকাজ করত। অ্যাক্সিডেন্ট করে তার পা ভেঙে যায়। তারপর আর কাজ করতে পারেনি, ভিক্ষা করে। এই ভিক্ষা করে করে মাত্র ১০ হাজার টাকা জমা করেছিল, তার থাকার ঘরটা ঠিক করবে বলে। তার মাত্র একটা ছেঁড়া কাপড় গায়ে। তার খাবারও ঘরে ঠিকমতো নেই। কিন্তু তারপরও সেই মানুষটা সেই জমানো ১০ হাজার টাকা সে তুলে দিয়েছে করোনাভা’ইরাসে যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের সাহায্যের জন্য।
আমি মনে করি, সারা বিশ্বে একটা মহৎ দৃষ্টান্ত তিনি সৃষ্টি করেছেন। এতবড় মানবিক গুণ আমাদের অনেক বিত্তশালীর মাঝেও দেখা যায় না। কিন্তু একজন নিঃস্ব মানুষ যার কাছে এই টাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে ওই টাকা দিয়ে আরও দুইটা জামা কিনতে পারত, ঘরে আরও খাবার নিতে পারত বা এই করোনাভা’ইরাসের জন্য তার যে অসুবিধা তার জন্য অনেক কিছু করতে পারত, সে চিন্তা করতে পারত। কোনো চিন্তা সে করেনি।
চিরদিনই অন্ধকার থাকে না, আবার আলোর পথে যাত্রা করব : প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই মিলেই আমরা এই অবস্থার থেকে মুক্তি পাব, ইনশাআল্লাহ। কাজেই আমি মনে করি, চিরদিনই অন্ধকার থাকে না, আলো নিশ্চয়ই আসে। আমরা আবার আলোর পথে যাত্রা শুরু করব।
করোনাভা’ইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আর্থসামাজিক বিভিন্ন অচলাবস্থার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি অর্থনৈতিকভাবে বিরাট ধাক্কা। কারণ, আজ যেসব দেশে আমরা রফতানি করতাম, করোনার কারণে সে দেশগুলো বন্ধ। তাদের সব কার্যক্রম বন্ধ। আবার আমাদের দেশেও সেই একই অবস্থা আমাদের করতে হয়েছে মানুষের নিরাপত্তার জন্য। কারণ, এখানে মানুষের নিরাপত্তাটাই হচ্ছে আমাদের কাছে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
করোনাভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত মৃত্যুবরণকারী সব পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা অস্বাভাবিক অবস্থা। এ ধরনের অবস্থা কিন্তু পৃথিবীতে আর আমরা দেখিনি। তবে জানা যায়, শত বছরে একবার নাকি এরকম একটা অবস্থার সৃষ্টি হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রতিনিয়ত রোগ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে এবং সবাইকে আমরা একটা নির্দেশ দিয়েছি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার। বাইরে মানুষের সঙ্গে না মেশা, বেশি লোকসমাগম না হওয়া, মানুষ থেকে দূরে থাকেন, বাইরের লোকের সঙ্গে যত কম মেশা যায়, কম যোগাযোগ রাখা যায়, সেটা সব থেকে ভালো। সেটাই সুরক্ষিত করে। কারণ, এটি হচ্ছে অত্যন্ত সংক্রামক একটা ব্যাধি। এত সংক্রামক, এটা কার যে কখন হবে, তা বোঝাও যায় না। এটিই হচ্ছে সব থেকে দুশ্চিন্তার বিষয়।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, মুজিববর্ষ উদ্যাপন করব বলে অনেক অনেক কর্মসূচি আমরা নিয়েছিলাম। আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা করতে পারিনি। তবে আমরা অনলাইনে করেছি। তারপরও আমি বলব, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সারা জীবন এ দেশের মানুষের জন্যই সংগ্রাম করেছেন। মানুষের জন্যই ত্যাগ-তিতিক্ষা করেছেন। মানুষের জন্য জীবন দিয়ে গেছেন তিনি। কাজেই সেই মানুষকে বাঁচানোটা আমাদের জন্য অনেক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই তার এই প্রিয় বাংলাদেশের প্রিয় মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তন করা, তাদের জীবনটা উন্নত করা, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
মসজিদে সীমিত আকারে নামাজ পড়ার জন্য ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ মুসল্লিদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে বলব- ঘরে বসে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। রমজানে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। যেন বাংলাদেশ এই দুর্যোগ থেকে মুক্তি পায়। সারা বিশ্বের মানুষ যেন মুক্তি পায়। রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোয় করোনার প্রাদুর্ভাব তুলনামূলক কম হওয়ায় সন্তুষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি করোনার প্রাদুর্ভাব যাতে আর না বাড়তে পারে, সেদিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।
গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। এ ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ যুগান্তর