ভারতে আটকে থাকা আরও সহস্রাধিক বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হবে !!
নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে ভারতে আটকে পড়াদের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আটটি ফ্লাইটের মাধ্যমে হাজারেরও অধিক বাংলাদেশিকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা হবে।বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) বিকালে চেন্নাই থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে মোট ১৬৪ যাত্রী দেশে ফিরেছেন। এসব যাত্রীদের অনেকেই চেন্নাই , ভেলোর ও বেঙ্গালুরুসহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। নয়াদিল্লীর বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং কলকাতা ও মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ মিশনসমূহের ব্যবস্থাপনায় আগামী এক সপ্তাহে কলকাতা (১ ও ৩ মে ), দিল্লি (২ ও ৫ মে ) , মুম্বাই (৩ মে ) এবং চেন্নাই (৩০ এপ্রিল , ১ ও ২ মে ) হতে মোট আটটি বিশেষ ফ্লাইটে সহস্রাধিক বাংলাদেশি দেশে ফিরবেন। চেন্নাই থেকে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স এবং অন্যান্য শহর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করছে।
চিকিৎসাধীন রোগী ও বিশেষ পরিস্থিতিতে আটকে পড়াদের মানবিক কারণে এ উদ্যোগে অনুমোদন দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। ভারত সরকার ঘোষিত লকভউন ৩ মে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন রাজ্য এ সময়সীমা বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। ফলে বিমান/রেল/গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার বিলম্ব হতে পারে। তাই যেসব যাত্রী বিভিন্ন কারণে সড়কপথে দেশে ফিরতে চান, তাদের সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছানোর অনুমতির জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় ও রোগীদের ক্ষেত্রে সড়কপথে ভ্রমণে চিকিৎসকের অনুমতি গ্রহণসহ নিয়মানুযায়ী অন্যানা শর্ত সাপেক্ষে বাসযোগে ভ্রমণের অনুমোদন প্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গন্তব্যের দূরত্ব এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের বিষয় বিবেচনা করে বর্তমানে ছোট যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকতে পারে। তাই প্রতিষ্ঠিত কোনো নিবন্ধিত পরিবহন সংস্থার পক্ষ থেকে সড়কপথে ভ্রমণের জন্য যাত্রীদের তালিকা , যানবাহন ও চালকদের বিবরণ, ভ্রমণপথের বর্ণনা, যাত্রারম্ভ , পথিমধ্যে যাত্রাবিরতি ও গন্তব্যে পৌঁছানোর সম্ভাব্য সময়সহ বিস্তারিত তথ্যাদি পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ভারতীয় কর্তৃপক্ষের নিকট প্রয়োজনীয় অনুমোদনের প্রস্তাব প্রেরণ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, যেসব বাংলাদেশি সড়কপথে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক তারা সহযাত্রীদের সঙ্গে সমন্বয় করে ভ্রমণের জন্য প্রতিষ্ঠিত নিবন্ধিত পরিবহন সংস্থার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি প্রেরণ করলে হাইকমিশন ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। তবে প্রত্যেক যাত্রীর অবশ্যই ‘করোনা মুক্ত‘ বা ‘করোনা উপসর্গমুক্ত’ সনদ থাকতে হবে। সব যাত্রীকে বাংলাদেশে প্রবেশের পর পুনরায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে এবং বাধ্যতামূলকভাবে দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে ।
সূত্রঃ জাগো নিউজ