করোনা চিকিৎসায় নতুন আশা জাগাচ্ছে আরেক জাপানি ওষুধ !!
করোনাভা’ইরাসের চিকিৎসা ব্যবস্থার দৌড়ে অ্যাভিগানের পর এবার আরেকটি জাপানি ওষুধ যুক্ত হয়েছে। ক্যামোস্ট্যাট নামের এই ওষুধটি ৩৫ বছর ধরে জাপানে অগ্ন্যাশয়ের স্ফীতি ও প্রদাহ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, অ্যাভিগান ওষুধের প্রশংসা করে ইতোমধ্যে সেটি উৎপাদনের জন্য ১২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সরকারি তহবিল সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে। বর্তমানে বেশ কয়েকটি দেশে ওষুধটির ১৪টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। চলতির মাসের শেষের দিকে এসব ট্রায়ালের ফল চলে আসার কথা।
যদি ফল কার্যকর হয়, তাহলে এটির অনুমোদন দেয়া হবে। ইতোমধ্যে ওষুধটি পেতে অন্তত ৪৩টি দেশ জাপানকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছে। এসব দেশকে ওষুধটি বিনামূল্যে সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাপান সরকার।
অন্যদিকে অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ বা প্যানক্রিয়াটাইটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওসাকাভিত্তিক ওনো ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির ৩৫ বছরের পুরোনো ওষুধ ক্যামোস্ট্যাটও করোনা চিকিৎসায় বেশ আশা জাগাচ্ছে। তাই এটি নিয়েও চিন্তাভাবনা শুরু করেছে দেশটির সরকার। তবে এটি এখনো ক্লিনিক্যালি প্রমাণিত হয়নি।
ওষুধটি মূলত ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য বিখ্যাত। তবে এটি সার্স কোভিড-১ ভা’ইরাসের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় ল্যাবরেটরি এবং প্রাণীর দেহে প্রয়োগে কাজ করেছে বলে জানা গেছে। তাছাড়া অ্যান্টিভা’ইরালটি ফুসফুসে করোনাভা’ইরাস প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় একটি এনজাইমকে আটকে দেয়। তাই করোনা চিকিৎসায় ক্যামোস্ট্যাট নিয়ে আশা ‘দেখছেন গবেষকরা।
এ বিষয়ে ইয়েল স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক চিকিৎসক জোসেফ ভিনেৎজ বলেন, ক্যামোস্ট্যাট ওষুধটির ৩৫ বছরের ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে। যে কারণে এটি খুবই নিরাপদ ওষুধ হতে পারে। তাই করোনা চিকিৎসায় ক্যামোস্ট্যাটের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। একজন চিকিৎসক হিসেবে মানুষকে সুস্থ করে তোলার জন্য এটি একটি প্রচেষ্টা মাত্র।
উল্লেখ্য, ক্যামোস্ট্যাটের বাণিজ্যিক নাম ফইপ্যান। এটি ১৯৮৫ সালে ক্রনিক প্যানিক্রিয়াটাইটিসের চিকিৎসায় প্রথম ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য ওষুধটি সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া অ্যাভিগানের বাণিজ্যিক নাম ফাভিপিরাভির। ১৯৯০ সালে জাপানের একটি ওষুধ কোম্পানি এটি তৈরি করে।