জেনে নিন ঈদের নামাজ আদায়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ১৩ শর্ত !!
করোনা ভা’ইরাস পরি’স্থিতিতে এবার ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ ১৩ শর্তে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়।
এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে উম্মুক্ত স্থানে বড় পরিসরে ঈদের জামায়াত পরি’হারের নির্দে’শনা প্রদান করে বর্তমানে বিদ্যমান বিধি বিধান অনুযায়ী ঈদের জামায়াত আয়োজন সংক্রা’ন্ত নির্দে’শনা প্রদান করে।ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মন্ত্রি পরিষদ বিভাগের নির্দে’শতার ধারাবাহিকতায় জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দে’শাবলি অনুসরণপূর্বক বিশেষ সত’র্কতামূলক বিষয়াদি অনুসরণপূর্বক নিম্নবর্ণিত শর্তসাপেক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামায়াত আদায়ের জন্য অনুরোধ করা হলো।
মূলত, এর আগে পাঁচ ওয়াক্ত ও জুমার নামাজের জামাতের শর্তগুলোই ঈদের জামাতের ক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৩ দফা শর্তে বলা হয়, ইসলামী শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামায়াত আদায়ের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বসহ আমাদের দেশে করোনা ভা’ইরাস পরি’স্থিতিজনিত ওজরের কারণে মুসল্লিদের জীবন ঝুঁ’কি বিবেচনা করে এবছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামায়াত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে; ঈদের নামাজের জামায়াতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনা’শক দ্বারা পরিস্কার করতে হবে। মুসল্লীগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন; করোনা ভা’ইরাস সং’ক্র’মণ রো’ধ নি’শ্চিতকল্পে মসজিদে ওযুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে; মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে; প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে; ঈদের নামাজের জামায়াতে আগত মুসল্লীকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
আরও শর্ত হচ্ছে-মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না; ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি অনুস’রণ করে দাঁড়াতে হবে; এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে; শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোন অসুস্থ্য ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না; সর্বসাধারণের সুর’ক্ষা নি’শ্চিত কল্পে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়’ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশ’না অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে;
করোনা ভা’ইরাস সং’ক্র’মণ রো’ধ নি’শ্চিতকল্পে মসজিদে জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহা’র করার জন্য অনুরো’ধ করা যাচ্ছে; করোনা ভা’ইরাস মহামা’রি থেকে র’ক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামগণকে অনুরোধ করা যাচ্ছে; এবং খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নি’শ্চিত করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উল্লিখিত নির্দে’শনা লং’ঘি’ত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃ’ঙ্খ’লা নিয়’ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বি’রু’দ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। প্রাণঘা’তি করোনা ভা’ইরাস সং’ক্র’মন রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা নিয়’ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দে’শনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।