বিশ্বজুড়ে আ’তঙ্কের মধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র !!
করোনাভা’ইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ে বিশ্বজুড়ে আ’তঙ্কের মধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক একটি বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। ‘সোরেন্টো থেরাপিউটিকস’ নামের কোম্পানিটি দাবি করেছে, করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি বা প্রতিষেধক আবিষ্কার করেছে তারা। এই অ্যান্টিবডি ‘শতভাগ কার্যকর’ এবং রোগীকে মাত্র চারদিনেই করোনামুক্ত করবে।
শুক্রবারই (১৫ মে) সান দিয়োগোর কোম্পানি সোরেন্টো থেরাপিউটিকস আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবে। তারা জানিয়েছে, ভ্যাকসিন বা টিকা বাজারে ছাড়ার আগেই এই অ্যান্টিবডির মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু হয়ে যেতে পারে।এই অ্যান্টিবডি নিয়ে প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর সোরেন্টো থেরোপিউটিকস পরবর্তী কার্যক্রমে এগোচ্ছে। তবে কোম্পানিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আগেই এই ‘বিশেষ খবরটি’ দিয়েছে ফক্সনিউজ।
তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংক্রমণজনিত রোগের চিকিৎসায় অ্যান্টিবডির ব্যবহার শত বছর ধরে চলে আসছে। যদিও এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেছে। সেজন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সফল অ্যান্টিবডি বা করোনামুক্ত ব্যক্তির প্লাজমায় আ’ক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা নতুন চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।
এতো শঙ্কা-সন্দেহ সত্ত্বেও সোরেন্টো থেরোপিউটিকসের কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন, করোনাভা’ইরাসের সফল চিকিৎসার চাবিকাঠি পেয়ে গেছেন তারা।তাদের দাবি, গবেষণার অংশ হিসেবে তারা গত দশকে শত কোটি অ্যান্টিবডি সংগ্রহ করেছেন এবং সেগুলোর স্ক্রিনিংও করেছেন। এর মধ্যেই ডজনখানেকের মতো এমন অ্যান্টিবডি রয়েছে, যারা কার্যত করোনাভা’ইরাসকে মানুষের শরীরে গেঁড়ে বসা থেকে ঠেকিয়ে দিতে পারে।
সোরেন্টো থেরাপিউটিকস’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডা. হেনরি জি এ বিষয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘করোনা থেকে মুক্তির উপায় এসেছে, তা আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই। এমন সমাধান এসেছে যা ১০০ ভাগ কার্যকর। এসটিআই-১৪৯৯ নামে এই অ্যান্টিবডি যদি আপনার শরীরে দেয়া হয়, তাহলে সামাজিক দূরত্বও আপনাকে বজায় রাখতে হবে না। আপনি নির্ভয়ে সবার সঙ্গে মিশে যেতে পারবেন।’
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানো করোনাভা’ইরাস গোটা বিশ্বকে কাবু করে ফেলেছে। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। এ ভা’ইরাসে বিশ্বজুড়ে আ’ক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত সোয়া ৪৫ লাখ। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে তিন লাখ। তবে ১৭ লাখের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই আ’ক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১৪ লাখের বেশি এবং মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৮৬ হাজার।