ধেয়ে আসছে আম্পান, রাতের আঁধারে নিরাপদ আশ্রয়ে উপকূলের বাসিন্দারা !!
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান ঘণ্টায় ১৫-২০ কিলোমিটার গতিতে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসছে।ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘণ্টায় ১৪০-১৬০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানতে পারে আম্পান।
এ কারণে ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় এলাকার মানুষদের রাতের আঁধারেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে কোস্টগার্ড।কোস্টগার্ড সদর দপ্তর বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় এলাকার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে কোস্টগার্ডে বেশ কয়েকটি ইউনিট কাজ শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে ৩০০/৪০০ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। আরো মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পান অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম জেলা সমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১৪০-১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।