করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন পথের সন্ধান !!
ম’হামারী করোনাভা’ইরাসের মোকাবেলায় নতুন এক সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা।তারা বলছেন, ২০০৩ সালে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়া সংক্রামক ভা’ইরাস সার্স থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর অ্যান্টিবডি করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম।
এমন গবেষণাকে ম’হামারী করোনা ঠেকাতে সম্ভাব্য সাফল্য বলে মনে করছেন তারা।যদিও গবেষণাটি এখন পর্যন্ত ল্যাবরেটরিতেই সীমাবদ্ধ। টেস্টটিউবের বাইরে অর্থাৎ মানবদেহে এই সার্সের অ্যান্টিবডি করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম কিনা তা পরীক্ষা করা হয়নি।সোমবার বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ন্যাচারের প্রকাশিত এক জার্নালে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ২০০৩ সালে সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (যা সংক্ষেপে সার্স নামে পরিচিত) ভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত রোগীর শরীর থেকে অ্যান্টিবডি সংগ্রহ করে রেখেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা। গত কয়েক সপ্তাহে ল্যাবরেটরিতে অন্তত ২৫টি অ্যান্টিবডির পরীক্ষা চালিয়েছেন তারা।
তারা দেখেছেন, এসব অ্যান্টিবডি করোনার সংক্রমণ ঠেকিয়ে দিয়েছে।কীভাবে তা কাজ করে যে বিষয়ে গবেষকরা বলেছেন, সার্স রোগীর অ্যান্টিবডি করোনার নির্দিষ্ট প্রোটিন স্পাইক লক্ষ্য করে আ’ক্রমণ করে তাকে দুর্বল করে দেয়। যার ফলে করোনা সংক্রমণ ঘটানোর হওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। আ’ক্রান্ত কোষেরও করোনা থেকেও মুক্তি মেলে।
গবেষকরা দেখেছেন, সার্স এর এস৩০৯ নামক অ্যান্টিবডিকে করোনাভা’ইরাসের সঙ্গে মিলিত করে দেখা গেছে করোনা তার কার্যকারিতা হারিয়েছে।এখন পর্যন্ত সার্সের আটটি অ্যান্টিবডিতে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
গবেষকদের ভাষ্য, সার্স এবং নভেল করোনা উভয় রোগই করোনাভা’ইরাস থেকে সৃষ্ট। তাই এই জীবাণুর গঠন ও প্রকৃতি একই ধাঁচের। আর এই দুই ভা’ইরাস প্রাণীর দেহ থেকেই মানবদেহে ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।তাই সার্সের অ্যান্টিবডি দিয়েই করোনা থেকে মুক্তি মেলার এক সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর অ্যান্টিবডি অসুস্থ রোগীর শরীরে প্রয়োগ অনেকেই সফল হয়েছেন বলে জানা গেছে। সেই সূত্র মেনে শরীরে করোনা প্রতিরোধে অ্যান্টিবডি তৈরি করবে এমন ভ্যাকসিন তৈরিতে মনযোগী হয়েছে ভা’ইরোলজিস্টদের বেশ কয়েকটি দল।