সামনে আ’ঘাত হানতে যাচ্ছে নতুন যেসব ঘূর্ণিঝড় !!
উপকূলে আঘাত হানতে গিয়ে টানা চার ঘণ্টার বেশি সময় তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। এই তাণ্ডব বেশি চলেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতিতে ঝড় বয়ে গেছে সেখানে। এতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গ। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের তাণ্ডব শেষে সুন্দরবন দিয়ে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। এ সময় সাতক্ষীরা, খুলনা, বরগুনার, যশোর ও ঝিনাইদহে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে গত মঙ্গলবার (১৯ মে) থেকে উপকূলসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে ঝড়ো বাতাসসহ হালকা থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। ২০০৪ সালে অর্থাৎ ১৬ বছর আগে থাইল্যান্ড এর নাম দিয়েছিল ‘আম্পান’।
বিশ্বজুড়ে প্রতিটি সমুদ্র অববাহিকায় যে ঘূর্ণিঝড়গুলি তৈরি হয়, আঞ্চলিক ভাবে বিশেষায়িত আবহাওয়া কেন্দ্র এবং ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা কেন্দ্রগুলির দ্বারা সেগুলির নামকরণ করা হয়। ওয়ার্ল্ড মেটিরিওলজিকাল অর্গানাইজেশন, ইউনাইটেড নেশন্স ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগর বা ডব্লিউএমও ইস্কাপের তালিকাভূক্ত দেশগুলি বিভিন্ন ঝড়ের নাম প্রস্তাব করে। এই তালিকায় রয়েছে ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ওমান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ডের নাম। এই অঞ্চলে উদ্ভুত ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে এই দেশগুলিই।
২০১৮ সালে তালিকায় আরও পাঁচটি দেশকে যুক্ত করা হয়েছে। এই পাঁচটি দেশ হল ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী আর ইয়েমেন। এপ্রিলে প্রকাশিত নতুন তালিকায় ঘূর্ণিঝড়ের ১৬৯টি নাম রয়েছে। তালিকার ১৩টি দেশের থেকে ১৩টি প্রস্তাবিত নাম রয়েছে এখানে। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী আম্ফানেরর পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়গুলির নাম হল, নিসর্গ (বাংলাদেশের প্রস্তাবিত), গতি (ভারতের প্রস্তাবিত), নিভার (ইরানের প্রস্তাবিত), বুরেভি (মালদ্বীপ প্রস্তাবিত), তৌকতাই (মায়ানমারের প্রস্তাবিত নাম) এবং ইয়াস (ওমান প্রস্তাবিত)।
সূত্র-বিডি২৪লাইভ