মায়েদের জন্য মাশরাফির ঈদ উপহার !!
করোনাভা’ইরাসে বিপর্যস্ত গোটা দেশ। যে যেভাবে পারছে সেভাবেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। ব্যতিক্রম নয় ছাত্রলীগও। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্দেশ দারুণভাবে পালন করে যাচ্ছে তারা।
তবে মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা বরাবরের মতোই ব্যতিক্রম। তার গণ্ডি যতদূর, ততোদূর তিনি করে যাচ্ছেন সাধ্যমতো। করোনাভা’ইরাস থেকে নিজের সংসদীয় এলাকা মুক্ত রাখতে নিয়েছেন দুর্দান্ত সব উদ্যোগ। তার ফলও পেয়েছেন দ্রুতই। এর জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও করেছেন কঠিন পরিশ্রম।তাইতো পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মায়েদের সম্মানে শাড়ি উপহার পাঠিয়েছেন মাশরাফি। নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চঞ্চল শাহরিয়ার মীম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ রকিবুজ্জামান পলাশের মাধ্যমে জেলা ছাত্রলীগের অন্তর্গত প্রতিটি ইউনিটের সভাপতি- সাধারণ সম্পাদক এবং নড়াইল সদর ও লোহাগড়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মায়েদের এই উপহার তুলে দেওয়া হয়।
উপহার পেয়ে মল্লিকপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান জানান, আমরা আজ অনেক খুশি। আমি তো রোজগার করি না, এই শাড়ি নিয়ে যখন মাকে বলব মাশরাফি ভাই পাঠিয়েছেন, তখন শুধু আমার মা নয়, ওনার নাম শুনলে সব মা’ই খুশি হবেন। উনার মতো বিখ্যাত মানুষের উপহার আমাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে সারাজীবন।
নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৌমেন বসু জানান, আমি নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সময়ে যখনই পূজা আসতো মাকে একটা শাড়ি উপহার দেওয়ার জন্য ব্যাকুল থাকতাম। তবে বেশির ভাগ সময়ই দিতে পারতাম না। শুধু আমি নই, ঈদ বা পূজার সময় আমার মতো প্রত্যেকেই ব্যাকুল থাকে মাকে কিছু দেবার জন্য। সত্যি বলতে কি সবাই ভাবে ছাত্রলীগ করলে মনে হয় কী না কী পাওয়া যায়! সত্যি বলতে ৯৯% ছাত্রলীগ করা ছেলেরাই বাড়ির থেকে টাকা নিয়ে রাজনীতি করে। তারা শুধু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে নিঃস্বার্থভাবে রাজনীতি করে যায়। আজ মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা তার আসনের ছাত্রলীগের নেতাদের মায়ের জন্য শাড়ি পাঠিয়েছেন যা শুনে বুকটা ভরে যাচ্ছে। আমাদের সময়ে যদি এমনটি হতো, তাহলে আমাদের মায়েরা যেমন খুশি হতেন, তেমনি আমাদের কর্মীরাও অনেক খুশি হতেন।