পঙ্গপালের প্রজনন ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান !!
করোনা ভা’ইরাসের ম’হামা’রিতে দিশেহারা গোটা বিশ্ব। আর করোনার সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যেও ভারতে বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে পঙ্গপাল।ভারত সরকারের দাবি, এসব পঙ্গপাল পাকিস্তান থেকে মূলত ভারতে প্রবেশ করছে। আর পঙ্গপালের প্রজনন ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপালের হানা ভারতের কাছে বিষফোঁড়া। একের পর এক কৃষিজমির সমস্ত ফসল খেয়ে নষ্ট করছে ওই মারাত্মক পতঙ্গটি।ভারতের কৃষিমন্ত্রী বলছে,মূলত পাকিস্তান থেকেই ওই ফসল বিনষ্টকারী পঙ্গপালের আবির্ভাব হচ্ছে ভারতে। অনেকেই বলছেন, এতদিন সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর বলে পরিচিত ছিল পাকিস্তান, আর এখন হয়ে উঠেছে পঙ্গপালের প্রজনন ক্ষেত্রও।
অত্যন্ত দ্রুতগতিতে পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় পঙ্গপাল বংশবৃদ্ধি করছে এবং সীমান্ত অঞ্চল দিয়ে দল বেঁধে প্রবেশ করছে ভারতে।দেশটির কৃষি বিভাগের উপ-নির্দেশক বি আর কাদওয়া জানিয়েছেন, পাকিস্তান সংলগ্ন অঞ্চলগুলি থেকেই সম্প্রতি রাজস্থানেও প্রবেশ করেছে পঙ্গপালের একটি নতুন দল।
বি আর কাদওয়া সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, পাক সীমান্ত এলাকা দিয়ে ২-৩ দিন অন্তর ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল রাজস্থানে প্রবেশ করছে। পাকিস্তান পঙ্গপালের নতুন এক প্রজনন ভূমিতে পরিণত হয়েছে।সেখান থেকেই মূলত রাজস্থান সহ ভারতের অন্যান্য রাজ্যে পঙ্গপালের হামলা হচ্ছে। পঙ্গপালের চারটি বড় ঝাঁক সম্প্রতি জয়পুরে প্রবেশ করেছে।”
তিনি বলেন, “গত মঙ্গলবার রাতে, আমরা প্রায় ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১ কিলোমিটার প্রস্থ এলাকা ধরে ঘুরে বেড়ানো পঙ্গপালের ঝাঁককে ধ্বংস করেছি।সবচেয়ে বড় কথা ওই পতঙ্গগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের শক্তি আরও বাড়িয়েছে। তাদের বেশ কিছু প্রকৃতিগত পরিবর্তনও হয়েছে এবং তারা আগে যে উচ্চতায় উড়তে পারতো, এখন তার থেকেও অনেক বেশি উচ্চতায় উড়ছে ।
এর ফলে পঙ্গপালের ঝাঁককে আমাদের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। তবুও, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।”এদিকে, কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে পঙ্গপালের বিষয়ে সতর্কতা জানিয়ে চলতি মে-জুনে এমন আরও একটি হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে এলডব্লিউও।প্রসঙ্গত, গত ১১ মে এই বছরে প্রথম পঙ্গপালের আ’ক্রমণ হয় ভারতে। পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে উত্তর রাজস্থানের গঙ্গানগর জেলার শস্যক্ষেতগুলোতে হানা দেয় পতঙ্গগুলো।