কোনো সন্তান নেবে না ঘরে, শেষ পর্যন্ত মায়ের ঠাঁই হলো টার্মিনালে !!
সন্তানরা বৃদ্ধা বয়সে তাদের দেখাশুনা করবে এটাই তাদের শেষ ভরসা। জীবনের শেষ বয়সে এসে এক মায়ের জায়গা হয়নি ছেলে-বউয়ের সংসারে। দীর্ঘদিন পূত্রবধূর অত্যাচার সহ্য করেছেন নীরবে। জীবন বাঁচাতে বাড়ি ছেড়ে যেতে চাইলেন ভারতে ছোট ছেলের কাছে। কিন্তু তার দিক থেকেও কোনো সাড়া না মেলায় অবশেষে বৃদ্ধ মায়ের ঠাঁই হলো বেনাপোল টার্মিনালে। বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার মহেশপুর গ্রামের ৮০ বছরের বৃদ্ধা সুনতি হালদার। স্বামীর মৃত্যুর পর বড় ছেলে বাবুল হালদারের বাসায় থাকতেন তিনি। কিন্তু প্রতিনিয়ত সইতে হতো ছেলে ও ছেলে বউয়ের নির্যাতন। কষ্ট সইতে না পেরে ঘর ছেড়ে ঘুরেছেন রাস্তায় রাস্তায়।
শেষ আশা ভারতে থাকা ছোট ছেলে। তার কাছে যেতে চাইলেও মাকে গ্রহণ করতে রাজি নন তিনি। অনাহারে আর্ধাহারে ১২ দিন ধরে পড়ে আছেন বেনাপোল চেকপোস্টে। এতো অবহেলার পরও সন্তানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই মায়ের। সুনতি হালদার বলেন, দশ মাস দশ দিন গর্ভে রেখেচি আমি, ছোট থেকে বড় করেছি, আমার মায়া নেই? একটা পিটুনি পুলিশে দিলে আমি তা সহ্য করতে পারব না। পুলিশের চাপে অবশেষে মাকে ফিরিয়ে নিতে রাজি বড় ছেলে। কিন্তু নির্যাতনের ভয়ে ফিরতে চান না মা।
এ অবস্থায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস পুলিশের। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম বলেন, সেই মা যদি কোনো অভিযোগ আমাদের দেন, আমরা ব্যবস্থা নেব। বৃদ্ধা সুনতি হালদারের দুই ছেলে দুই মেয়ে। ছোট ছেলে অনুপ ও দুই মেয়ে থাকেন ভারতে।