যে কারনে, হাঁটু গেড়ে মাথা নত করে ক্ষমা চাইল যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ !!
কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে গ্রে’ফতারের পর পুলিশ কর্মকর্তা হাঁটু দিয়ে তার গলা চেপে মে’রে ফেলে। নির্ম’ম এই হ’ত্যাক’ণ্ডের প্র’তিবাদে ছয়দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্ষো’ভের আ’গুন জ্ব’লছে। গোটা দেশের বি’ক্ষোভের সময় নিউইয়র্ক-মিয়ামি পুলিশের সদস্যরা বি’ক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে অনন্য ন’জির গড়েছেন।
জর্জ ফ্লয়েড নামের ওই ব্যক্তির হ’ত্যার প্র’তিবাদে নিউইয়র্কে বি’ক্ষোভ চলছিল। বি’ক্ষোভকারীরা হাঁটু গেড়ে বসে নীরবতা পালন করছিলেন। এ সময় নিউইয়র্ক পুলিশও তাদের সঙ্গে যোগ দেন এবং তারাও হাঁটু গেড়ে বসে নীরবতা পালন করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়েছে।মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক অনলাইন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিউইয়র্কে পুলিশ কর্মকর্তাদের সংহতি জানানোর সেই ভি’ডিও ধারণ করেছেন আলিয়া আব্রাহাম। তিনি বলেন, ‘আমি এমনটি প্রত্যাশা করিনি। কখনও এমনটি দেখি নাই।’
কৃষ্ণাঙ্গদের একটি সংগঠন পরিচালনাকারী আব্রাহাম নামের তরুণী জানান, অ্যাক্টিভিস্ট তার এই জীবনে পুলিশ কর্মকর্তাদের এমন কিছু করতে কখনো দেখেননি তিনি। তবে এমন সংহতি জানানোই যথেষ্ট নয়। তিনি বলেন, ‘এটি দারুণ ও ভালো লক্ষণ। কিন্তু আমরা যা চাই তা নির্দিষ্ট পদক্ষেপ।’
যুক্তরাষ্ট্রে অর্ধশতাধিক শহরে হ’ত্যাকা’ণ্ডের প্র’তিবাদে বি’ক্ষোভ চলছে। বি’ক্ষোভ চলছে মিয়ামি শহরেও। অর্ধশতাধিক বি’ক্ষোভকারী সেখানে গ্রেফতার হয়েছে পুলিশের হাতে। কিন্তু কয়েকজন পুলিশ সদস্য হাঁটু গেড়ে বসে সংহতি জানানোর ফলে অনেক প্র’তিবাদকারীই অবাক হয়েছেন।
তবে বি’ক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের এই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান অন্যান্য শহরে ছিল না। বিভিন্ন স্থানে গাড়ি পো’ড়ানো, দোকান লু’টপা’ট এবং পুলিশ- বি’ক্ষোভকারী মু’খোমুখি অবস্থানে ছিল। এছাড়া বি’ক্ষোভ দমনে ৪০টি শহরে কা’রফিউ জা’রি করা হয়েছে। সেনাবাহিনী স’ক্রিয় অন্তত ১৫টি অঙ্গরাজ্যে।