জেনে নিন, লাল, সবুজ ও হলুদ এলাকায় যা করা যাবে না !!
করোনা ভা’ইরাস সংক্রমণ রোধে তিনটি ভাগে ভাগ করা করা হয়েছে। আর তিনটি চিহ্নিত হল- লাল, হলুদ ও সবুজ এলাকা। এ সব পরিচালনার জন্য গাইডলাইন ঠিক করা হয়েছে। করোনার পরিস্থিতির উপর এই চিহ্ন গুলো এলাকা ভিক্তিক দেয়া হবে। যে এলাকায় আ’ক্রান্তের সংখ্যা বেশি। সে সব এলাকায় এ চিহ্নিত ব্যবহার করে পদক্ষেপ নেয়া হবে। কেন্দ্রীয় একটি কমিটির অধীনে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলের নেতৃত্বে পুলিশ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিসহ স্থানীয় মানুষকে সম্পৃক্ত করে কমিটি গঠনের মাধ্যমে লকডাউনসহ অন্যান্য বিষয় বাস্তবায়িত হবে।
লাল এলাকা
মানুষদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা থাকবে। শপিং মল বন্ধ থাকবে। গণপরিবহন চলাচল করবে না, এমনকি এই এলাকায় স্টপেজও থাকবে না। তবে কেবল রাতে মালবাহী যান চলাচল করতে পারবে।এলাকার মসজিদে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ থাকবে। মানুষের অবাধ যাতায়াত বন্ধ করার জন্য ভৌগোলিক বাস্তবতা অনুসরণ করে সড়ক ও গলির মুখ বন্ধ করা হবে। এছাড়া মহল্লার ভেতর আড্ডাও বন্ধ থাকবে।
এলাকায় কাঁচাবাজারের জন্য নির্ধারিত ভ্যান সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হবে। আর লকডাউন এলাকায় বস্তি থাকলে দুই সপ্তাহের খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার কথা রয়েছে গাইডলাইনে। এ এলাকার করোনায় আ’ক্রান্ত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কঠোর ভূমিকা পালন করবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহলও অব্যাহত থাকবে। লাল জোনে অবস্থিত অফিস–আদালত নিয়ন্ত্রিতভাবে চলা বা বন্ধ রাখার পক্ষে সিটি করপোরেশন। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নির্দেশনা আসতে হবে বলে মনে করে সিটি করপোরেশন।
হলুদ এলাকা
হলুদ এলাকায় শপিং মল বন্ধ থাকবে; তবে মুদি দোকান খোলা থাকবে। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলতে পারবে। একজন করে যাত্রী নিয়ে রিকশা ও অটোরিকশা চলতে পারবে। এই এলাকায় মালবাহী যানও চলবে। মসজিদে দূরত্ব বজায় রেখে যাওয়া যাবে। মানুষের অবাধ যাতায়াত বন্ধ করার জন্য ভৌগোলিক বাস্তবতা অনুসরণ করে সড়ক ও গলির মুখ বন্ধ করা হবে। এছাড়া মহল্লার ভেতর আড্ডাও বন্ধ থাকবে। এলাকায় কাঁচাবাজারের জন্য নির্ধারিত ভ্যান সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হবে।
আর লকডাউন এলাকায় বস্তি থাকলে দুই সপ্তাহের খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার কথা রয়েছে গাইডলাইনে। হলুদ জোনে অবস্থিত অফিস–আদালত নিয়ন্ত্রিতভাবে চলা বা বন্ধ রাখার পক্ষে সিটি করপোরেশন। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নির্দেশনা আসতে হবে বলে মনে করে সিটি করপোরেশন। এ এলাকার করোনায় আ’ক্রান্ত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কঠোর ভূমিকা পালন করবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহলও অব্যাহত থাকবে।
সবুজ এলাকা
সবুজ এলাকায় যানবাহন চলতে পারবে। মসজিদে দূরত্ব বজায় রেখে যাওয়া যাবে।
চিকিৎসার প্রয়োজন হলে
লকডাউন এলাকার কোনো ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এলাকার বাইরে আসার প্রয়োজন হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের অনুমতি নিয়ে বাইরে আসা যাবে।
কেউ মারা গেলে
লকডাউন এলাকায় কেউ মারা গেলে ‘আল মারকাজুল ইসলাম, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম বা এই ধরনের কাজে নিয়োজিত সংস্থার মাধ্যমে দাফন বা সৎকার করা হবে।জানা গেছে, লাল, হলুদ ও সবুজ এলাকায় ভাগ করে আজ সোমবার রাত অথবা কাল মঙ্গলবার থেকে ঢাকায় শুরু হতে পারে এলাকাভিত্তিক ভিন্নমাত্রার লকডাউন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেলের প্রধান ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, লাল, হলুদ ও সবুজ—এই তিন ধরনের এলাকা চিহ্নিতকরণের কাজটি বিশেষজ্ঞরা করছেন। সেটি হওয়ার পরই সরকারে সিদ্ধান্তে তা কার্যকর হবে।