যে কারণে সিরাজগঞ্জে মোহাম্মদ নাসিমকে দাফন করা হচ্ছে না !!
জাতীয় চারনেতার অন্যতম শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর সুযোগ্য সন্তান আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের জানাযার নামাজ আগামীকাল (রবিবার) সকাল সাড়ে ১০ টায় বনানী কবরস্থান মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয় রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।
নানক বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক সবার প্রিয় নেতা মোহাম্মদ নাসিমকে আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টায় বনানী কবরস্থান মসজিদে জানাযার নামাজ শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রিয় জন্মভূমি সিরাজগঞ্জে মোহাম্মদ নাসিমকে দাফন করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
নানক বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে হাজার হাজার মানুষ প্রিয় নেতার জানাযায় অংশগ্রহণ করুক আমরা এটা চাই না। আমরা চাই সবাই সবার অবস্থান থেকে উনার জন্য দোয়া করুক।’মহান আল্লাহ যেন মোহাম্মদ নাসিমকে বেহেস্ত নসীব করেন এজন্য তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে দোয়া করার জন্য অনুরোধ করেন।
এসময় তানভীর শাকিল জয় বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের পরামর্শ অনুযায়ী সিরাজগঞ্জের পরিবর্তে ঢাকার বনানী কবরস্থানে আমার পিতাকে দাফনের সিদ্ধান্ত হয়।’ তিনি তার পিতার আত্মার মাগফেরাতের জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন।
গত ১ জুন জ্বর-কাশিসহ করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। রাতে করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে।পরদিন ভোর সাড়ে ৫টায় মোহাম্মদ নাসিমের ব্রেন স্ট্রোক হয়। হাসপাতালের নিউরোসার্জন অধ্যাপক রাজিউল হকের নেতৃত্বে কয়েক ঘণ্টায় তার অস্ত্রোপচার সফল হয়। সফল অস্ত্রোপচার হলেও তার মাথার ভেতরে বেশ কিছু রক্ত জমাট বেধে ছিল। স্ট্রোকের পর থেকে গত ৮ দিন তিনি অচেতন অবস্থায় ভেন্টিলেশন সাপোর্টেই ছিলেন।