মালয়েশিয়া যেতে ১৫ ধরনের ভিসা, জানুন বিস্তারিত…
এশিয়ার অন্যতম ব্যবসা উপযোগী দেশ মালয়েশিয়া ভ্রমণ ও বসবাসের জন্য প্রায় ১৫ ধরনের ভিসা দেয়। মালয়েশিয়ায় ভ্রমণ ও বসবাসে আগ্রহী সবার জন্য এই ভিসাগুলো সম্পর্কে ধারণা দিয়েছে দেশটির অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয়।মালয়েশিয়ার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন নামে বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে। যেমন- স্কুলে বিদেশি শিশুদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা পায়, মা-বাবা পায় গার্ডিয়ান ভিসা, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনার্স, মাস্টার্স ও পিএইচডির স্টুডেন্টরা বাবা, মা, সন্তানদের আনতে পারে ডিপেন্ডডেন্ট ভিসায়।
ব্যবসা ও চাকরি করতে আগ্রহী ব্যক্তিরা প্রফেশনাল ভিসা ক্যাটাগরি ১, ২, ৩ ভিসা পেয়ে থাকেন। ক্যাটাগরি ১ ভিসা বলতে বোঝায় কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ে অধিষ্ঠিত কর্মকর্তাদের ভিসাকে। যেমন পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক, ব্যবস্থাপক ইত্যাদি।
ক্যাটাগরি ২ ভিসা হলো সহকারী ব্যবস্থাপক পর্যায় থেকে নিম্ন পর্যায়ের দক্ষ কর্মচারীদের ভিসা, আর ক্যাটাগরি ৩ ভিসা হলো কোনো একটি কোম্পানির সাধারণ শ্রমিকের ভিসা। বিশেষায়িত কোম্পানিগুলোতে আবার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ভিসার নাম বিভিন্ন হয়ে থাকে, যেমন আইটি কোম্পানিগুলোতে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ভিসার সাধারণ নাম আইটি ভিসা, ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির কর্মকর্তাদের ভিসাকে বলে এমআইডিএ ( মালয়েশিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি) ভিসা। তবে আসলে এগুলোর অফিশিয়াল নাম এমপ্লয়মেন্ট পাস।
বিভিন্ন কোম্পানিতে প্রশিক্ষণের উদ্দেশে আসা ভিসাগুলোকে ট্রেনিং ভিসা বলে। মালয়েশিয়ায় ভ্রমণ করতে আসা পর্যটকদের ভিসার নাম টুরিস্ট অথবা ভিজিট ভিসা। মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের ভিসাগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে হয়ে থাকে। যেমন সিক্স পি ভিসা। ভিসাগুলোর অগ্রগতির পর্যায় অনুসারে আবার এদের বিভিন্ন নাম হয়ে থাকে। যেমন-ডিপি১০, ডিপি১১, কলিং ভিসা ইত্যাদি।
এমএম২এইচ (মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম) হলো মালয়েশিয়ার একটি জনপ্রিয় ভিসা যা একসঙ্গে ১০ বছরেরে ভিসা হয়ে থাকে এবং যা নবায়নযোগ্য। আরেক ধরনের ভিসা হলো রেসিডেন্ট পারমিট (আরপি) ভিসা। যা পাঁচ, দশ বা পনেরো বছরের হয়ে থাকে। অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীদের এই ভিসাকে টেলেন্ট পাসও বলে।সবশেষে রয়েছে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে দুই ধরনের পিআর (পারমানেন্ট রেসিডেন্স) অর্থাৎ স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমোদনপত্র। একটি হলো রেডি আইসি বা দ্বৈত নাগরিকত্ব যা পেলে একজন মানুষ বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া উভয় দেশের নাগরিক থাকতে পারবে।
আর যদি এই নাগরিকত্বের পর ব্লু আইসি পেতে চায় অথবা শুধু মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব পেতে চায় তবে তাকে নিজস্ব দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হবে এবং এভাবে সে মালয়েশিয়ার পাসপোর্ট লাভ করতে পারবে এক পর্যায়ে। বিদেশি ব্যবসায়ী, বিভিন্ন পেশাজীবী, বিনিয়োগকারী ও যাঁরা মালয়েশিয়ার নাগরিককে বিবাহ করবেন তাঁরা পরবর্তীতে এই পিআর লাভ করতে পারবেন।