দিশার মৃ’ত্যুর ৫ দিনের মাথায় সুশান্তেরও আ’ত্মহ’ত্যা, আসছে নানা প্রশ্ন !!
সুশান্ত সিং রাজপুতের সাবেক ম্যানেজার দিশা সালিয়ান গত সোমবার (৮ জুন) ১৪ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহ’ত্যা করেন। দিশার মৃত্যুর মাত্র ৫ দিনের মাথায় সুশান্তের মৃত্যু; হতবাক করে দিলো উপমহাদেশকে। গোটা দেশ যখন করোনা নিয়ে দুশ্চিন্তায়, হঠাৎই বলিউডের ওপরে যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। আত্মহ’ত্যা করলেন বলিউডের নতুন প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ সুশান্ত সিং রাজপুত। রবিবার (১৪ জুন) মুম্বাইয়ের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় তার ঝুলন্ত লাশ। বাড়িতে থাকা কাগজপত্র থেকে জানা যাচ্ছে, বেশ কিছুদিন ধরেই ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন তিনি। অন্যদিকে, গত ৮ জুন মুম্বাইয়ের মালাডের এক বহুতলের ১৪ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহ’ত্যা করেছিলেন দিশা। প্রেমিক রোহন রাই এবং বন্ধুদের সঙ্গে ডিনারের পর আচমকাই বড় কাচের জানলার কাছে চলে যান দিশা। কিছু বুঝে ওঠার আগে সেখান থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহ’ত্যা করেন তিনি।
তবে কী কারণে আত্মহ’ত্যা করলেন সেলিব্রিটি ম্যানেজার, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যায় পুলিশ। তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে লকডাউনের সময় থেকে ক্রমশ ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন দিশা। মাঝে মধ্যেই অন্য রকমের ব্যবহার করতেন তিনি। কী কারণে তার ব্যবহারে আচমকা পরিবর্তন আসে, তা নিয়েও পুলিশ খোঁজ শুরু করেছে।এ খবর শুনে নন্দিত পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ টুইট করে বলেন, ‘কী বলে… এটা সত্য নয়!’ মডেল ও অভিনেত্রী গওহর খান তার টুইটার বার্তায় বলেন, ‘হায় হায়…কী ঘটছে?’
এদিকে সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহ’ত্যার ঘটনায় গোটা উপমহাদেশ শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে। ধোনির বায়োপিক থেকে শুরু বেশ কিছু সুপারহিট চলচ্চিত্রের নায়ক সুশান্ত সিং রাজপুত। ১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি পাটনায় জন্মগ্রহণ করেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। পরবর্তীকালে দিল্লিতে চলে আসে তার পরিবার। দিল্লি কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও ভর্তি হন। কিন্তু সেইসময় থেকেই থিয়েটারের দিকে ঝোঁকেন তিনি। নাচও শেখেন। তার জন্য পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি।
অভিনয়ের তাগিদ থেকেই শেষ মেশ মুম্বইয়ে চলে আসেন সুশান্ত। সেখানে ২০০৮ সালে প্রথম একতা কাপুরের প্রযোজনায় ‘কিস দেশ মে হ্যাঁ মেরা দিল’ সিরিয়ালে অভিনয় করার সুযোগ পান। সিরিয়ালে অল্প দিনের মধ্যেই তার চরিত্রটির মৃত্যু হয়। তবে সেখান থেকেই একতা কাপুরের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায় তার। সেই সূত্রেই ২০০৯ সালে ‘পবিত্র রিস্তা’ সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।