হইচই করায় দু’টি বাচ্চাকে ৫ তলা থেকে ফেলে দিল পাষাণ প্রতিবেশি !!
শিশুরা মাসুম প্রকৃতির হয়। তারা এতটাই মাসুম যে ভালো মন্দের মধ্যে পার্থক্য তারা সহজে করতে পারেনা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বড়বাজার থানা এলাকার ১১৩ নেতাজি সুভাষ বসু রোডের একটি বাসায় তিন শিশু প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল রবিবার (১৪ জুন) বারান্দায় হইচই করে খেলছিল। বাচ্চাদের এই চেঁচামেচি নিয়ে পাশের ঘরের প্রতিবেশী প্রায়ই অভিযোগ করতেন এবং রাগ দেখাতেন। কিন্তু এদিন রেগেমেগে তিনটি বাচ্চাকেই পাঁচতলা থেকে ফেলে দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। দেখতে পেয়ে মা কোনো রকমে চার বছরের মেয়ে বাচ্চাটিকে ধরে ফেললেও অন্য দুটি বাচ্চাকে সত্যিই ছুড়ে ফেলা হয় নিচে। দুই বছরের শিশু শিবম সাউ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ছয় বছরের শিশু বিশাল সাউ মুমূর্ষু অবস্থায় নীলরতন সরকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা মুরলিধর শর্মা জানান, রোববার রাতেই খুন এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগে শিবকুমার গুপ্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহ আগে বাচ্চাদের খেলাধুলা নিয়েই প্রতিবেশী বিক্রম বাবুর সঙ্গে শিবকুমারের ঝগড়া হয়। পাশাপাশি ঘরের সামনে সরু বারান্দা। সেখানেই সবসময় বাচ্চাগুলো খেলত। তাতেই বিরক্ত হয়ে বিক্রম বাবুদের সঙ্গে গোলমালে জড়িয়েছিলেন শিবকুমার। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, তখনই শিবকুমার হুমকি দিয়েছিল- বাচ্চারা ফের এ রকম করলে তাদের ওপর থেকে ফেলে দেয়া হবে।
কিন্তু সেটি যে সত্যিই ঘটবে, তা ভাবতে পারেননি কেউই। আহত বিশাল সাউয়ের বাবা বুধন সাউ ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলেন। এমন যে ঘটে যাবে, ভাবতে পারেননি। পুলিশ জানায়, বিশালকে ছুড়ে ফেলা হলে সে প্রথমে তারের ওপরে পড়ে। সেখান থেকে দোকানের টিনের চালে পড়ে তার পর মাটিতে পড়ে। এ কারণেই বেঁচে যায় সে। প্রতিবেশী তারা দেবী সোনকার জানান, রোববার সন্ধ্যায় তার চোখের ওষুধ নিচে পড়ে গিয়েছিল। একজনকে তুলে দেয়ার জন্য বলবেন বলে বারান্দায় এসে দেখেন, সরু গলির ওপর পড়ে রয়েছে একটি বাচ্চা। আরেকটি বাচ্চাকে চ্যাংদোলা করে তুলে ফেলে দিচ্ছে শিবকুমার! তিনি বলেন, আমি চিৎকার করে ওঠি। কিন্তু ততক্ষণে ও বাচ্চাটিকে ফেলে দেয়।