জেনে নিন, রেড জোনে ”যা করা যাবে”…আর…যা যাবে না !!
করোনাভা’ইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির বিবেচনায় যেসব এলাকা ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে সেসব এলাকায় যা করা যাবে, যা যাবে না-এ বিষয়ে কিছু বিধি-নিষেধ নির্ধারণ করা হয়েছে।আজ এক তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই যখন প্রয়োজন তা করা হবে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়ন করবে। এই বিষয়ে সকলের বিভ্রান্তি নিরসন হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করে প্রাথমিকভাবে রেড জোনের জন্য কিছু বিধিনিষেধ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিধি-নিষেধগুলো হচ্ছে-
স্বাস্থ্যবিধি মেনে বর্ধিত সময়ে কৃষিকাজ করা যাবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রামাঞ্চলে কলকারখানা ও কৃষি পণ্য উৎপাদন কারখানায় কাজ করা যাবে। তবে শহরাঞ্চলে সব বন্ধ থাকবে।বাসা থেকেই অফিসের কাজ করতে হবে এবং কোন ধরণের জনসমাবেশ করা যাবে না। কেবলমাত্র অসুস্থ ব্যক্তি হাসপাতালে যেতে পারবেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হতে পারবে এবং রিক্সা ভ্যান, সিএনজি, ট্যাক্সি বা নিজস্ব গাড়ী চলাচল করবে না। সড়ক পথ, নদীপথ ও রেলপথে জোনের ভিতরে কোন যান চলাচল করবে না।জোনের ভিতরে ও বাহিরে মালবাহী নৌযান ও জাহাজ কেবলমাত্র রাতে চলাচল করতে পারবে। প্রত্যেক এলাকায় সীমিত পরিমাণে প্রবেশ ও বহিরাগমন পয়েন্ট নির্ধারণ করে কঠোরভাবে জনগণের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
এছাড়া এই জোনের অন্তর্গত মুদি দোকান ও ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। রেস্টুরেন্ট ও খাবার দোকানে কেবলমাত্র হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু থাকবে। বাজারে শুধুমাত্র প্রয়োজনে যাওয়া যাবে। তবে শপিংমল, সিনেমা হল, জিম/ স্পোর্টস কমপ্লেক্স, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
আর্থিক লেনদেন বিষয়ক কার্যক্রম যেমন টাকা জমাদান/ উত্তোলন স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেবলমাত্র এটিএম-এর মাধ্যমে করা যাবে। তবে সীমিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে।এলাকার রোগীদের পর্যাপ্ত কভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা করা হবে। সনাক্ত রোগীরা হোম আইসোলেশন বা প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে থাকবে। শুধুমাত্র মসজিদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মসজিদ/ উপাসনালয়ে সামাজিক দূরত্ব রেখে ইবাদত করতে পারবেন।
সাধারণভাবে রেড জোন ২১ দিনের জন্য বলবত হবে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে রেড জোন পরিবর্তন করা হবে।এ ছাড়া রেড জোনসহ বাংলাদেশের সকল অঞ্চলে নিম্নোক্ত সাধারণ নিয়মাবলী পালন করতে হবে। এগুলো হচ্ছে, সকলকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে। হাত ধোয়া, জীবাণুমুক্তকরণ ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
করোনা রোগ/ সংক্রমণ সনাক্তকরণ, তাদের আইসোলেশন ও চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং ও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, হাসপাতাল ও জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। অসুস্থ ব্যক্তি পরিবহনকারী যান/ ব্যক্তিগত গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে চলাচল করবে।
সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- স্কুল, কলেজ, কোচিং সেন্টার পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে উল্লেখ করে বলা হয়, এ সকল কার্যক্রমের তদারকির জন্য কার্যকরী সামাজিক সম্পৃক্ততা এবং মাঠকর্মীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।এ ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গত ১৫ জুন তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করতে হবে।উল্লেখ্য, রেড জোন বাস্তবায়নকালে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সকলের প্রযোজনীয় নাগরিক সেবাসহ অন্যান্য সুবিধা-অসুবিধার দিকে খেয়াল রাখবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।