আজ সূর্যগ্রহণ, যে সকল কাজ ভুলেও করা যাবে না !!
উত্তর গোলার্ধের সবেচয়ে বড় দিন রোববার (২১ জুন)। এই দিনকে বছরের দীর্ঘতম বা কর্কটক্রান্তি দিবসও বলা হয়ে থাকে। এদিন এক মহাজাগতিক দৃশ্যেরও দেখা মিলবে দেশের আকাশে। এদিন সূর্য একটি নির্দিষ্ট সময়ে কর্কটক্রান্তি রেখার উপর লম্বভাবে অবস্থান করবে। আংশিক সূর্যগ্রহণ হবে।আকাশ মেঘমুক্ত থাকা সাপেক্ষে সারাদেশ থেকে এ আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। ঢাকার স্থানীয় সময় দুপুর ১১টা ২৩ মিনিটে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে। দুপুর ১টা ১২ মিনিটে সূর্যগ্রহণের সর্বোচ্চ পর্যায় ও দুপুর ২টা ৫২ মিনিটে গ্রহণ শেষ হবে।
এদিকে, খালি চোখে এই গ্রহণ দেখতে বারণ করেছে নাসা। চোখে কয়েক সেকেন্ডের জন্য সূর্য গ্রহণ দেখলেও তা রেটিনার ওপর প্রভাব ফেলে। যার কারণে একটা চোখে দৃষ্টিশক্তিও হারাতে পারে মানুষ।পেরিস্কোপে, টেলিস্কোপ, সানগ্লাস বা দূরবীন, কোনো কিছুর সাহায্যে গ্রহণ দেখার সময় সূর্যের দিকে সরাসরি তাকাতে বারণ করা হয়েছে। গ্রহণের সময় সূর্য রশ্মি অত্যন্ত সংবেদনশীল থাকে যা চোখে প্রভাব ফেলতে পারে। সানগ্লাস বা ঘষা কাঁচ দিয়েও এই গ্রহণ দেখতে বারণ করেছে নাসা। কারণ এইগুলো নিরাপদ না।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র সূর্যগ্রহণ চলাকালীন খাবার খেতে বারণ করেছে। একমাত্র বৃদ্ধ, অসুস্থ ও গর্ভবতী নারীরা হালকা খাবার নিতে পারবেন বলে বলা আছে।কিছু মানুষ মনে করেন, গর্ভবতী নারীর গর্ভে থাকা বাচ্চার জন্য সূর্যগ্রহণ অত্যন্ত বিপদজনক। তাই সে সব নারী গ্রহণ চলাকালীন ঘরের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হতো না।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, বিশেষ গ্রহণ গ্লাস বা সোলার ফিল্টার দিয়েই এই গ্রহণ দেখা উচিত। বাজারে আইএসও স্বীকৃত বিশেষ সোলার গ্লাস দিয়ে একমাত্র এই গ্রহণ দেখা নিরাপদ। সে সব গ্লাস ব্যবহারের আগে অবশ্যই ব্যবহার নির্দেশিকা পরে নিতে উপদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কোনোভাবে সেই গ্লাস ভাঙা বা দাগ থাকলে ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন তারা।
উল্লেখ্য, দিন বড় হলে ভূ-পৃষ্ঠ অধিক সময় পর্যন্ত সৌরতাপ গ্রহণ করতে পারে এবং অধিক উত্তপ্ত হয়। কিন্তু দিনের তুলনায় রাত বড় হলে তার বিপরীত অবস্থা ঘটে। ২১ মার্চ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর—এ ছয় মাস উত্তর গোলার্ধে অবস্থান করায় সেখানে গ্রীষ্মকাল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে শীতকাল বিরাজ করে।