করোনায় আক্রান্ত শুনে দূরে সরে গেল স্বজনরা, কিন্তু পাশে দাঁড়াল পুলিশ !!
কখনও কখনও বাস্তবতা কল্পনাকেও হার মানায়। যখন করোনা পজিটিভের খবর শুনে কাছের লোকগুলো চোখের পলকে বদলে যায়, তখন সত্যিই পৃথিবীটা বড্ড আজব লাগতে শুরু করে। ঠিক তখনই পাশে এসে দাঁড়ায় বাংলাদেশ পুলিশ।ঠিক এমনটি ঘটেছে শামীম আহম্মেদের জীবনে। তিনি পেশায় একজন ব্যাংকার। ভালোই চলছিল তার জীবন ও সংসার। কিন্তু করোনা মহামারিতে তিনি হঠাৎ করোনা পজিটিভ হয়ে পড়েন। তখনই বুঝতে পারেন বাস্তবতা কত কঠিন।
একে একে সবাই যেন তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। পাশে নেই আপনজন। এ অবস্থায় ভাড়া করা বাসায় একা, এক রুমে বন্দি জীবন কাটছিল তার। বাসার খাবারও শেষ, বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। কি করবেন কিছুই ঠিক করতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় খুবই খারাপ সময় পার করছিলেন তিনি।
হঠাৎ তার মাথায় আসলো যশোর জেলা পুলিশ তো করোনাকালে সমাজের অসহায়দের পাশে দাঁড়ায়। জেলা পুলিশের ফেসবুক পেজ থেকে নম্বর নিয়ে ফোন দেন যশোর পুলিশ মিডিয়া সেলের ইনচার্জ সোহেল মাতুব্বরকে। সোহেল মাতুব্বর তার কাছ থেকে বিস্তারিত শোনেন এবং বিষয়টি সম্পর্কে যশোর রিজার্ভ অফিসের আরও-১ এসআই (নিরস্ত্র) জামাল উদ্দিন জামানকে অবহিত করেন।
পরবর্তীতে জামান উদ্দিন বিষয়টি যশোর জেলার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেনকে অবহিত করেন। যেই কথা সেই কাজ। পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। রোববার শামীম আহম্মেদের বাসায় পুলিশ পৌঁছে দেয় বিভিন্ন ফল ও খাবার। যশোর জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
যশোরের পুলিশ মিডিয়া সেলের ইনচার্জ সোহেল মাতুব্বর বলেন, করোনা রোগী শামীম আহম্মেদ শহরের বেজপাড়া তালতলা এলাকার বাসিন্দা। তার এমন পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে তার বাসায় খাদ্যসামগ্রী উপহার হিসেবে পাঠানো হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় পুলিশ সদস্যরা তার বাসায় খাবার পৌঁছে দেন। পুলিশ সুপারের খাদ্যসামগ্রী পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শামীম আহম্মেদ। তিনি পুলিশ বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।