যুবসমাজের প্রতি ইসলামের নির্দেশনা !!
ইসলাম শিক্ষা দেয় যে আল্লাহ দয়ালু, করুনাময়, এক ও অদ্বিতীয়। ইসলাম মানব জাতিকে সঠিক পথ দেখায়। ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, আদম হতে শুরু করে আল্লাহ্ প্রেরিত সকল নবী ইসলামের বাণীই প্রচার করে গেছেন।
দোষ-গুণের চিরাচরিত নিয়মে মানুষের সৃষ্টি। তাদের দ্বারা ভুল-ত্রুটি হওয়াটাই স্বাভাবিক। কোরআনে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘অতঃপর তাতে ঢেলে দিলেন অপরাধপ্রবণতা ও তাকওয়া। অবশ্যই সফল হলো সে যে তা পবিত্র করল; আর বিপদগ্রস্ত হলো সে যে তা ছেড়ে দিল।’ – সুরা শামছ, আয়াত নং ৮-১০।
এইজন্য যুবসমাজকে অপরাধ থেকে বের করে আনতে হবে। তাদের নীতিনৈতিকতা শিখাতে হবে। ইসলামের শ্বাশত চেতনা তাদের মধ্যে ঢেলে দিতে হবে। তবেই সমাজ আদর্শিক সমাজে রূপান্তরিত হবে। এই যুবসমাজকে নিয়েই বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদর, ওহুদ, খন্দক, তাবুকসহ অনেক যুদ্ধে বিজয় লাভ করেছেন। তাই যৌবনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টি যুবকদের জন্য গনিমত। তাকে যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক ব্যক্তিকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেন,
‘পাঁচটি বস্তুর পূর্বে পাঁচটি বস্তুকে গনিমত মনে কর। যথা-
(১) তোমার বার্ধক্য আসার পূর্বে যৌবনকে(২) পীড়িত হওয়ার পূর্বে সুস্থতাকে(৩) দরিদ্রতার পূর্বে সচ্ছলতাকে(৪) ব্যস্ততার পূর্বে অবসরকে(৫) মৃত্যুর পূর্বে জীবনকে’।– তিরমিযী, হাদিস নং ৫১৭৪।