প্রবাসে ৬ প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত !!
২৪ বছর বয়সী তরুণ মো. রবিন। মাত্র দেড় বছর আগে পরিবারের হাল ধরতে মধ্যে প্রা;চ্যে;র দেশ ওমানে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি। মৃ;ত্যু;র খবর আ;সার তিনদিন আগে বাড়িতে টাকাও পাঠিয়েছিলেন। স;ড়;ক দু;র্ঘটনা;য় নি;হ;ত হয়েছেন তিনি।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির এই মৃ;ত্যু কোনোভাবে মেনে নি;তে পা;রছেন না তারা।পরিবারের বড় ছেলেকে হা;রিয়ে শো;কে ভাসছেন স্বজনরা। শুধু রবিন নয়, শনিবার ওমানের দুখোম শহরে স;ড়ক দু;র্ঘ;ট;নায় নি;হ;ত; ছ;য়জনের বাড়ি;তে বা;ড়িতে চলছে শো;কে;র মা;ত;ম;।
তাদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায়। কেউ হারিয়েছেন সন্তান। কেউ হারিয়েছেন স্বামী। কেউ আবার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হা;রি;য়ে দি;শে;হারা।মঙ্গলবার হারামিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাসন আলী হাজীর বাড়িতে গেলে স্বজনদের আহা;জারিতে ভা;রী হয়ে ওঠে বা;ড়ির পরিবেশ। এই বাড়ির বড় ছেলে রবিন প্রবাসে সড়ক দু;র্ঘ;টনায় নি;হ;ত; হয়েছেন।
তার বাবা জহিরুল ইসলাম জসিম জানান, ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়ে বাড়িতে অবসর জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। মাত্র দেড় বছর আগে ব্যাংক থেকে ঋ;ণ নিয়ে ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিলে। মৃ;ত্যু;র তিনদিন আগেও ব্যাংক ঋ;ণ শো;ধ ও পরিবারের
খরচের জন্য ১৬ হাজার ৫০০ টাকা পাঠিয়েছিলেন রবিন। ভেবেছিলেন সন্তানের আয়ে দুঃখ ঘুছবে পরিবারের। ছেলে ফিরে আসলে বিয়ে করানোর পরিকল্পনাও ছিল বাবার। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সংসারে সুখ ফেরা;র আগেই না ;ফে;রার দে;শে চলে গেলে;ন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি। তিন ভাইয়ের ম;ধ্যে সবার বড় ছিলেন রবিন। সন্তা;নকে হা;রিয়ে বার;বার জ্ঞান হা;রাচ্ছি;লেন মা হোসনা আরা বেগম।
একই দৃশ্যে দেখা গেছে স;ন্দ্বী;প পৌরস;ভার ৮ নম্বর ওয়া;র্ডের এনাম; নাহা;র মোড়;স্থ পাঠা;ন মাঝি;র বাড়ি;র মো. মি;নহাজের বাড়িতেও। ২২ ;বছর বয়;সী মিন;হাজের তি;নভাই, দুই বোন। স;ন্তানকে হারিয়ে বা;ক;রু;দ্ধ তার মা। বাবা প্রবাসী বেলাল উদ্দিনও আবুধাবিতে দিশে;হারা হয়ে আছেন। সন্তানকে শেষ দেখা দেখতে না পারার আ;ক্ষে;প করছেন বলে জানান স্বজনরা।
মিনহাজের চাচা মো. মনির জানান, তার ভাই বেলাল উদ্দিন আ;বু;ধা;বি;তে; প্র;বাসী হলেও তার উ;পা;র্জ;ন খুব ভালো নয়। তাই ছেলেকে ওমা;ন পাঠিয়েছিলেন। ছেলে ভালো উপার্জন কর;তে পারলে তার দে;শে ফি;রে আ;সার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ছেলেকে হারি;য়ে দিশে;হা;রা পরি;বা;রের স;স্য;রা। তা;দের সব স্ব;প্ন ;ভে;ঙে গেছে।নি;হ;ত;দে;র; মধ্যে অন্য তিন;জনের বা;ড়ি সন্দ্বী;পের সারি;কাইত ই;উনিয়নে। তাদের ঘ;রে ঘরে;ও চল;ছে শো;কে;র মাতম। স্বজ;নরা ;নি;হ;ত প্রিয়;জনদের শে;ষ দে;খা দেখ;তে অপে;ক্ষা করছেন।
এ বিষয়ে সারিকাইত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম পনির জানান, ওমান সড়;ক দুর্ঘট;নায় নি;হ;ত ৬ জনে;র মধ্যে মামুন, মিলাদ ও ফারুকের বাড়ি সারিকাইত ইউনিয়নে। গু;রু;তর আ;হ;ত তিনজ;নের মধ্যে দু’জনের বাড়িও সারি;কাইত ইউ;নিয়নে। তারা হলেন-আশ্রাফ ও দিদার।
সন্দ্বীপের সদ্য সাবেক পৌর মেয়র জাফর উল্যা টিটু বলেন, নি;হ;ত মিনহাজের পরিবার আমার প্রতিবেশী। মিনহাজ আমাকে মা;মা বলে ডাকতেন। খুবই হাসিখুশি ও প্রাণবন্ত যুবক ছিল।অল্প বয়সী এসব ছেলেদের মৃ;ত্যু কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। সরকার যেন তাদের লা;শ পরিবারের কাছে আনতে সহায়তা করেন।