২৭ হাজার টাকা দিয়েও ৩ বৃদ্ধ পায়নি বয়স্ক ভাতার কার্ড !!
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ৫ নং রামপির ইউনিয়নে বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত, ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড প্রদানে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইউপি মহিলা সদস্য জাহানারা বেগম টাকার বিনিময়ে কার্ড দিচ্ছেন। টাকা না দিতে পারলে কোন কার্ড দিচ্ছে না। কার্ড প্রতি ৯/১০ হাজার টাকা করে আদায় করছে। এভাবে তারা প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিশাল উপজেলার ৫ নং রামপুর ইউনিয়নে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা আজ (২৩ ফেব্রুয়ারি) ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ত্রিশাল থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, রামপুর ইউপির ৭, ৮ ও ৯ ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য জাহানারা বেগমসহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বিভিন্ন গ্রামে গরীব দুঃখীদের কাছ থেকে বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে ৯/১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা করে আদায় করেছে। যারা টাকা দিতে পারেনি তাদের কার্ড দেয়া হয়নি। আবার অনেকের কাছ থেকে টাকা নেয়ার পরও কার্ড না দিয়ে টাকা আত্মসাত করেছে। টাকা ফেরত চাইলে অসহায়দের বিভিন্ন ধরনের হুমকী দিচ্ছে।
অভিযোগে জানা গেছে, ৩ টি পরিবারের কাছ থেকে ২৭ হাজার টাকা নিয়েছে। আরো কয়েকটি পরিবার অভিযোগ করে বলেন, তারা টাকা না দিতে পারায় তাদের কার্ড হবে না বলে জানিয়েছে।অভিযোগকারী সুফিয়া খাতুন জানান, ইউপি মহিলা সদস্য জাহানারা বেগম ৩ জনের কাছ থেকে ২৭ হাজার টাকা নেন। টাকা ফেরত চাইলে তাদের ভয়-ভীতি দেখানো হয়। শহিদ নামের একজন ভুক্তভোগী বলেন, কার্ড পেতে ইউপি মহিলা সদস্য জাহানারা বেগমকে টাকা দিয়েছি।
উপজেলার বীররামপুর ভাটিপাড়ার বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম জানান, কার্ড পাওয়া আশায় জাহানারা বেগমকে ৬ হাজার টাকা দিয়েও এ পর্যন্ত কার্ডও পাইনি টাকাও ফেরতি পাইনি।এ ব্যাপারে ৫ নং রামপুর ইউনিয়নের মহিলা সদস্য জাহানারা বেগমের মুঠোফোনে যোগযোগের চেষ্টা করলে তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক জানান, কিছু লোক আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি আরো বলেন, যদি কেউ প্রমান সাপেক্ষে আমার কাছে অভিযোগ করে তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।ত্রিশাল থানার পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) সুমন চন্দ্র রায় বিডি২৪লাইভকে জানান, সুফিয়া খাতুন নামের একজন বৃদ্ধা মহিলা একটি অভিযোগ দিয়েছেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এ বিষয়ে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্র- বিডি২৪লাইভ