নাসির-তামিমা দম্পতির বিরুদ্ধে মা’মলা, যা উল্লেখ আছে মা’মলার এজাহারে !!
অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাসির হোসেন। এই খবর সামাজিকমাধ্যম চাউর হওয়ার পর থেকে তিনি সুখে আছেন নাকি দুঃখে, জানা মুশকিল। বিতর্ক-সমালোচনার পর এবার বড় ঝামেলায় পড়লেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘ব্যাড বয়’। মা’মলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে, আসামি করা হয়েছে তার স্ত্রী তামিমা তাম্মিকেও।
মা’মলাটি করেছেন তাম্মির ‘বর্তমান’ বা ‘ভাবী সাবেক’ স্বামী মো. রাকিব হাসান। মা’মলার এজাহারে বিয়ে গোপন থাকা অবস্থায় বিয়ে, অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া, ব্যভিচার ও মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালতের এ মা’মলা দায়ের করা হয়।আদালত প্রথমে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে নথি পর্যালোচনা করবেন। আদেশ পরে দেবেন বলে জানা গেছে। রাকিব গণমাধ্যমে এ মা’মলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মা’মলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের ৮ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়িলে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ জেনেছেন।
মা’মলায় অভিযোগ করা হয়েছে, রাকিবের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক চলমান অবস্থাতেই তাম্মি নাসিরকে বিয়ে করেছেন; যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। নাসির তাম্মিকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গিয়েছেন। তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার ৮ (আট) বছর বয়সী শিশু কন্যা মারাত্মভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন। আসামিদের এহেন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে; যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
এদিকে নাসিরের বিয়ের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলছেন সাবেক প্রেমিকা সুবাহ শাহ হুমায়রা। গতকাল মঙ্গলবার এক ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, ‘নাসির হোসেন এবং তামিমা তাম্মিকে নিয়ে লাইভে এসে কথা বলতে বাধ্য হলাম। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। শুটিংয়ে গিয়েও নাসির-তামিমাকে নিয়ে কথা শুনতে হচ্ছে আমার। আমি এর আগেও বলেছি ২০১৮ সালে নাসিরের সঙ্গে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। যখনই নাসির-তামিমার কথা আসছে, তখনই আমার নামটি আসছে কেন? আমার তো ফ্যামিলি আছে। আমার তো স্ট্যাটাস আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তামিমা যে এতটা খারাপ আমি জানতাম না। কতটা খারাপ মহিলা হলে ৮ বছরের বাচ্চাকে রাস্তায় ফেলে এসে নাসিরের টাকা দেখে তাকে বিয়ে করতে পারে। নাসিরের বউ এই তামিমাকে রাস্তায় পেলে আমি জুতা পেটা করব। আমি তো মনে করি নাসির ও তামিমাকে জুতার মালা গলায় দিয়ে ঘুরানো উচিত। না হলে ওদের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা উচিত। শুধু তামিমা না, অনেক মেয়ের সঙ্গেই নাসিরের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এত ভালো ভালো মেয়েদের সঙ্গে প্রেম করে নাসিরের জীবনে একটা নষ্টা মেয়ে জুটেছে। নষ্টা চরিত্রের এক মেয়েকে বিয়ে করেছে। তাকে নিয়ে লাইভে এসে নাচানাচি করছে। নাসিরের কাছের মানুষ আমাকে বলেছে, তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেছে তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে। নাসির তো লোভী, লোভ দেখিয়েই তাকে বিয়ে করেছে। এটা নাসিরের কর্মের ফল। এই নাসির ৮০-৯০টা মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। এখন তার কপালেই নষ্ট মেয়ে জুটিছে। তামিমা নামের আগে এয়ার হোস্টেস ট্যাগ লাগিয়ে একের পর এক বিয়ে করেছে। ব্যাংকে টাকা পয়সা জমিয়েছে, ফ্ল্যাট করেছে। শেষে নাসিরের গলায় ঝুলে পড়েছে। নাসির যেমন, তামিমাও তেমন। যেমন কুকুর তেমন মুগুর।’
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ঘটা করে বিয়ে করেন ক্রিকেটার নাসির ও তাম্মি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর সঙ্গে তিনটি ছবি আপলোড করেন বহুদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা এ ক্রিকেটার। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এ বিয়ের খবর। তবে বিয়ের সপ্তাহ না পেরোতেই খবর আসে, অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন নাসির। এ জন্য থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন নিজেকে তাম্মির প্রথম স্বামী হিসেবে দাবি করা রাকিব হাসান। এরই মাঝে ক্রিকেটার নাসির হোসেনের একটি ফোন রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে শোনা যায়, ফোন করে এক ব্যক্তিকে জিডি করার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বলেছেন নাসির।