এবার রাস্তায় বাইক রেখে বিক্ষোভ করলো রাইডাররা !!
ম’হামারি করোনাভা’ইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার গতকাল দুই সপ্তাহের জন্য রাইড শেয়ারিং বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।আজ বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নতুন এই নির্দেশনার প্রতিবাদে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কয়েশ’ মোটরসাইকেল চালক তাদের বাইক সড়কে রেখে বিক্ষোভ করেন এবং এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান। পরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শাহবাগ এলাকা অবরোধ করেন রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল চালকরা।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সজীব হোসেন নামে এক সরকারি কলেজের ছাত্র বলেন, ‘করোনার মধ্যে বাস চলাচল করছে তাতে কি কোনো সমস্যা হচ্ছে না? রাইড শেয়ারিং করলেই কি সমস্যা? রাইড শেয়ার বন্ধ করলে করোনা সংক্রমণ কি থেমে থাকবে? থাকবে না। বিআরটিএর এই সিদ্ধান্ত আমাদের পেটে লাথি মারার সমান।
সজীব হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্ত মানি না। আমাদের রাইড শেয়ার করতে দিতে হবে। আমাদের এই দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা এখান থেকে যাবো না। আমরাতো সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনেই রাইড শেয়ার করছি। আমরা অধিকাংশ রাইডার মাস্ক পরছি, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করছি। আমরা এই স্বাস্থ্যবিধি আরো ভালো করে মেনে চলাচল করতে চাই।’
সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ রোধে ১৮টি নির্দেশনা দেয় সরকার। এর আলোকে গণপরিবহনে ৫০ শতাংশ আসন খালি রেখে যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী দুই সপ্তাহের জন্য মোটরসাইকেলের রাইড শেয়ারিং সার্ভিস বন্ধ করার নির্দেশনা দেয় বিআরটিএ।
এর আগে বুধবার (৩১ মার্চ) বিআরটিএ এর উপপরিচালক (প্রকৌশল শাখা) বিমলেন্দু চাকমা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে।উল্লেখ্য, বিক্ষুব্ধ চালকরা বলছেন, বাস, অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনে যাত্রীরা যেখানে ‘গাদাগাদি’ করে যাচ্ছে, সেখানে করোনাভা’ইরাস ঠেকাতে মোটরবাইকে যাত্রীসেবা নিষিদ্ধ করা হল কেন?