১৫ হাজার টাকার লোভে কলেজছাত্রীর ৪৯ হাজার গচ্চা !!
গতকাল সোমবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় উপবৃত্তির ১৫ হাজার টাকা জমা হয়েছে বলে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে ৪৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। গতকাল সোমবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের প্রতাবী গ্রামের বাসিন্দা মো. ইন্তাজ আলীর মেয়ে ও কুলাউড়া সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া তাবাসসুমের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে। প্রতারণার শিকার ওই শিক্ষার্থী এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে।
এ ব্যাপারে প্রতারণার শিকার সাদিয়া তাবাসসুম জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে (০১৬১০-০৭২৪৬৬) নম্বর থেকে আমার বাবার ফোনে কল করে বলে, আমার উপবৃত্তির ১৫ হাজার টাকা তার কাছে জমা আছে। টাকা পাওয়ার জন্য আমার নম্বরে একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে এই কোড দিলে তারা টাকা পাঠাবে।
এরপর সঙ্গে সঙ্গে আবার ফোন করে বলে, আমার নম্বরে ১৫ হাজার টাকা আসবে না, এই টাকা পাওয়ার জন্য বিকাশ এজেন্টের কাছে যেতে হবে। আমি সঙ্গে সঙ্গে একটি বিকাশ এজেন্টের কাছে যাই। বিকাশ এজেন্টের কাছে যাওয়ার পর ওই লোক আমাকে আমার নিজের বিকাশ নম্বরে ২৪ হাজার ৫০০ টাকা ক্যাশ ইন করার কথা বললে আমি এজেন্টের দোকান থেকে আমার পার্সোনাল নম্বরে ২৪ হাজার ৫০০ টাকা পাঠাই।
এ সময় আমার বিকাশ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ফেলে প্রতারক চক্র। কিছুক্ষণ পর ওই প্রতারক ফোন করে (০১৯৮৯-২১৪৮৮৮) নম্বরে আরো ২৪ হাজার ৫০০ টাকা পাঠানোর কথা বলে। আমি আরো ২৪ হাজার ৫০০ টাকা ওই নম্বরে পাঠিয়ে দেই। টাকা পাঠানোর পর ওই প্রতারক আমাকে কিছুক্ষণ পর ফোন দিচ্ছে বলে ফোন রেখে দেয়।
এরপর প্রায় ঘণ্টাখানেক অপেক্ষায় থাকার পরেও তার কোনো ফোন না পাওয়ায় তাকে আমি ফোন দিলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বিষয়টি আমি বিকাশ অফিসে জানালে তারা থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।এ সময় তিনি উপবৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে কেউ ফোন নম্বর বা কোনো কোড চাইলে দিতে নিষেধ করেন। এ বিষয়ে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের আরো সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।