আশ্চর্জজনক ভাবে কবর দেয়ার আগে কেঁদে উঠল মৃত শিশু!
মৃত ঘোষণার পর নবজাতক কবর দিতে গেলে হঠাৎ কেঁদে ফেলেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্স বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর শিশুটিকে দাফনের জন্য একটি শক্ত কাগজে বাড়িতে আনা হয়। শক্ত কাগজে থাকার দুই ঘণ্টা পরে, স্থানীয় এক পণ্ডিত সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে নবজাতককে কবরস্থানে নেওয়ার আগে মৃত নবজাতককে দেখতে কার্টনটি খুললেন। এবং তারপর নবজাতক কেঁদেছিল। ‘শত শত মানুষ তার অলৌকিক বেঁচে থাকার খবরে শিশুটিকে এক নজরে দেখতে ভিড় করে। বৃহস্পতিবার ভান্ডারিয়া উপজেলার কাছে কানুদাশকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শিশুটির বাবা মো ফোরকান মৃধা ঘটনাটি জানান। কান্নার পর নবজাতককে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় এবং কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি একই হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ বিভাগের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
শিশুটির বাবা ঘটনার বিবরণে বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে তার স্ত্রী বিলকিসের পেটে ব্যথা শুরু হয়। পরে তাকে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সিনিয়র নার্স ফাহিমাকে যখন সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তিনি তাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাম দেখতে বলেন। স্ত্রী যখন হাসপাতাল সংলগ্ন লাবণ্য ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রামের জন্য যান, তখন তিনি প্রসব ব্যথা শুরু করেন এবং একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তারপর সেই ক্লিনিকের ডাক্তার আমাদের বাচ্চাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং তার স্ত্রী বিলকিসকে ওষুধ লিখে দেন। পরে, নার্সদের সহায়তায়, আমি নবজাতককে দাফনের জন্য একটি কাগজের কার্টনে নিয়ে যাই। প্রায় দুই ঘণ্টা পরে, সকাল সাড়ে এগারোটায় কবরস্থানে নিয়ে যাওয়ার আগে, একজন স্থানীয় পণ্ডিত মৃত নবজাতককে দেখতে কার্টনটি খুললেন। এবং তখন শিশুটি কেঁদেছিল। আমি সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি।
ঘটনার সময় ক্লিনিকের সামনে ওষুধ কিনতে আসা নাসিমা বেগম জানান, জন্মের পরপরই ক্লিনিকে কর্তব্যরত নার্স ও ডাক্তাররা কোন পরীক্ষা ছাড়াই শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে একটি শক্ত কাগজে ভরা।