নোয়াখালী রণক্ষেত্র, পুলিশ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের ত্রিমুখী ব্যাপক সংঘর্ষ
নোয়াখালী জেলা শহরে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের জনসভা সফল করতে শোডাউনের সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ একে অপরকে ধাওয়া করে এবং পুলিশকে ইট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠি ও গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় পথচারীসহ অন্তত ২৬ জন আহত হয়েছেন। এক্ষেত্রে শহরের পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ।
রবিবার বিকাল সাড়ে চারটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত, জেলা শহরের মাইজদী শহরের টাউন হল মোড় থেকে আব্দুল মালেক উকিল প্রধান সড়কটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ সোমবার সকাল ১০ টায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ডেকেছেন। একই সঙ্গে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন টাউন হলের কোণে সমাবেশের ডাক দেন।
একই সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ডেকেছেন। অন্যদিকে, মেয়র শহীদ উল্লাহ খান সোহেল সকাল ১০ টায় নোয়াখালী পৌরসভায় মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সমাবেশের আয়োজন করেন।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন সমর্থিত নেতাকর্মীরা রোববার বিকেলে রশিদ কলোনী থেকে একটি মোটরসাইকেল শোডাউন বের করে আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সমাবেশ ও আলোচনা সভা সফল করার জন্য।
পুলিশ মোটরসাইকেল শোডাউন শহরের বড় মসজিদের কোণে পৌঁছাতে বাধা দেয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়া এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর অনুসারীরা পুলিশের সঙ্গে জোট গঠন করে এবং শাহীনের অনুসারীদের ধাওয়া করার চেষ্টা করে। শাহীনের অনুসারীরা পাল্টা পুলিশ ও একরামের অনুসারীদের ধাওয়া করলে পুলিশ এলোপাতাড়িভাবে লাঠি চার্জ করে।
শাহীনের অনুসারীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। শহরের প্রবেশ পথে শত শত গাড়ি সারিবদ্ধ। পথচারী ও ব্যবসায়ীরা এর শিকার।