ভাড়ার টাকা না থাকায় ২ শিশুকে লঞ্চ থেকে নদীতে ছুড়ে মারলো!
রাজধানী ঢাকার সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা চাঁদপুরগামী ইমাম হাসান -৫ লঞ্চের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জের মেঘনা নদীতে দুই শিশুকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভাসমান দুটি শিশুকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকাল ১০ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সীমান্তের কাছে মেঘনায় এ ঘটনা ঘটে।
উদ্ধার হওয়া দুই শিশু হলো মেহেদুল হাসান (১)) এবং সাকিব হাসান (১২)।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঢাকার সদরঘাট এলাকায় থাকে এবং লঞ্চে পানি বিক্রি করে।
শনিবার রাতে গজারিয়া থানার ওসি মো। রইছ উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ধারকৃত দুই শিশু জানায়, লঞ্চের ক্রুরা তাদেরকে নদীতে ফেলে দেয়। কারণ তাদের ভাড়ার টাকা ছিল না। কিন্তু এখন দুজনেই নিরাপদ।
গজারিয়া পুলিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, গজারিয়া থানার ওসি রইচ উদ্দিন একটি নৌকায় দুই শিশুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। জবাবে শিশুরা জানায়, ইমাম হাসান -৫ লঞ্চের কর্মীরা একে নদীতে ফেলে দিয়েছে। আমি ছাদে উঠলাম এবং টাকা দিলাম না, শুধু ফেলে দিলাম।
রইছ উদ্দিন আরও বলেন, “আমি মুন্সীগঞ্জ গজারিয়া লঞ্চ টার্মিনাল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে একটি স্পিডবোটে মেঘনা নদীতে দুটি শিশুকে ভাসতে দেখেছি। এরপর আমি তাদের উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ ডকে নিয়ে যাই। স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে ঢাকা-সদরঘাটগামী এমভি আল-বোরাক লঞ্চে তাদের তুলে নেওয়া হয়। ভাড়ার টাকার অভাবে লঞ্চের কর্মীরা তাদের নদীর মাঝখানে ফেলে দেয়।
তবে ইমাম হাসান -৫ লঞ্চ মাস্টার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, দুই শিশু তাদের নিজের ইচ্ছায় নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে। যাত্রীরা আমাদের জানান।