নববধূকে অচেতন করে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ, লজ্জায় স্বামীর আত্মহত্যা
কুমিল্লায় নববধূকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের পর রাতে তার স্বামীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, স্ত্রীকে ধর্ষণের পর স্বামী লজ্জায় আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নাঙ্গলকোটের কাশিপুর গ্রামে।
শনিবার সকালে নিহতের স্ত্রী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশের আরেকটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা। ফেসবুকে নাঙ্গলকোটের স্থানীয় লোকজনের তীব্র প্রতিবাদের কারণে বিষয়টি রবিবার সকলের নজরে আসে।
সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চরবাকলা গ্রামের আরিফ হোসেন (২০) কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার জোদ্দা বাজারের মুক্তা হোটেল নামে আবদুল হকের খাবারের দোকানে ছেলে হিসেবে কাজ করত। একটি দোকানে কাজ করার সময় আরিফ হোসেন মুন্সীগঞ্জ জেলার একটি মেয়ের (১৬) সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে প্রেমে পড়েন।
এক সপ্তাহ আগে তারা পালিয়ে বিয়ে করে। গত বুধবার রাতে তারা দোকান মালিক আব্দুল হকের ছেলে লিটন (২৩) এবং স্থানীয় বাবুল মিয়ার ছেলে সিএনজি অটোরিকশা চালক সালাহউদ্দিন (২৫) এর সাহায্যে কাশীপুরের আজগর মিয়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি ভাড়া নেয়।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে দম্পতি ঘুমিয়ে পড়লে লিটন ও সালাউদ্দিন পরিত্যক্ত বাড়িতে প্রবেশ করেন। এ সময় লিটন মাদক সেবন করে আরিফের স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। সালাউদ্দিন ভিডিওটি ধারণ করেন। ধর্ষণের একপর্যায়ে আরিফ জেগে উঠলে সালাউদ্দিন ও লিটন পালিয়ে যায়।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আবদুন নূর বলেন, তার স্ত্রী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষণের সময় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ভিডিও চিত্র বিশ্লেষণ এবং ঘটনাস্থলে তদন্তের মাধ্যমে এটা স্পষ্ট যে, আরিফ লজ্জা সহ্য করতে না পেরে অপমানিত হয়ে আত্মহত্যা করেছে।
লিটনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আরেক আসামি সালাউদ্দিন পলাতক। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূ সেখানে চিকিৎসাধীন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আরিফের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।