সৌদিতে প্রবাসীর জেল, ব্যাগে ইয়াবা ঢুকিয়ে দেন বিমানবন্দরের কর্মী
বরিশালের মো। আবুল বাশার এখন সৌদি আরবের কারাগারে। তিনি চলতি বছরের ১২ মার্চ সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। ঢাকায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা চেকের সময় তাকে ধরা না পড়লেও সৌদি বিমানবন্দরে তার ব্যাগে ইয়াবা পাওয়া গেছে। এ কারণে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এমনকি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধরা পড়লেও তিনি জেলে যেতেন।
অভিযোগ রয়েছে, বিমানবন্দরের এক কর্মচারী ইয়াবা চালানের পেছনে ছিল। ওই কর্মী হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক যাত্রীর ব্যাগে ইয়াবা ঢুকিয়ে দেয়। যার প্রমাণ পাওয়া যায় ভিডিও ফুটেজেও। বাংলাদেশ দূতাবাসের আইনি সহায়তা ছাড়াই ইয়াবা পাচারের জন্য সৌদি আরবে আবুল বাশারকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হতো।
জানা গেছে, আবুল বাশার গত বছর ১২ ডিসেম্বর সৌদি আরব থেকে ছুটিতে দেশে আসেন। আবুল বাশার ছুটি শেষে কাজে ফিরতে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে চলতি বছরের ১২ মার্চ বিমানবন্দরে পৌঁছান। তিনি রাত ১২ টার দিকে ৪ নম্বর গেট দিয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন। যখন তিনি বোর্ডিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন একজন ব্যক্তি তাকে একটি প্যাকেট নিতে বললেন।
যাইহোক, বাশার একটি অপরিচিত ব্যক্তির প্যাকেট নিতে অস্বীকার করেন। লোকটির বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও, তিনি প্যাকেটটি নিতে অস্বীকার করলেন। এক পর্যায়ে লোকটি নিজেকে বিমান সংস্থার কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেয় এবং আবুল বাশারকে হুমকি দিতে থাকে। প্যাকেট না নিলে তাকে ফ্লাইটে চড়ার হুমকি দেওয়া হয়। আবুল বাশার প্যাকেটটি নিতে রাজি হননি।
একপর্যায়ে লোকটি নিজেই প্যাকেটটি বাশারের ব্যাগে ঢুকিয়ে দেয়। প্যাকেটে কিছু আচার ও খাবার আছে, যেটা সৌদি তার ভাই। আবুল বাশার সময় হওয়ায় কারো কাছে কোন অভিযোগ না করেই ফ্লাইটে আরোহণ করেন। কিন্তু সৌদি আরবে আসার পর তার ব্যাগে থাকা ওই প্যাকেট থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এরপর আবুল বাশারকে কারাগারে পাঠানো হয়।